প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একসময় নির্বাচনে জিততে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ক্ষমতায় এলে তিনি কলকাতাকে লন্ডন করবেন, আর উত্তরবঙ্গকে সুইজারল্যান্ড। আর সেই কলকাতা এখন যে লন্ডনে সামান্য বৃষ্টির জলে ভাসছে, রাস্তার অবস্থা যে দৈনদশা এবং তার কারণে প্রতিনিয়ত যানজট এবং দুর্ঘটনার মত ঘটনা ঘটছে, তা হয়ত নজর এড়িয়ে যাচ্ছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন, যে পুলিশ তার এত তল্পিবাহকতা করে, তার সরকারের হয়ে প্রতিনিয়ত বিরোধীদের কেস দেয়, এবার সেই পুলিশই কি মুখ্যমন্ত্রীকে এবং তার উন্নয়নকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন না? কেননা এদিন কলকাতার রাস্তায় যানজট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে করা হলো, তার ফলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নই বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। যে পুলিশ এতদিন তার এবং তার সরকারের রক্ষাকর্তা ছিল, সেই পুলিশের পক্ষ থেকেই করা সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্ট সব থেকে বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ালো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বলেই দাবি করছেন একাংশ। কি ঘটনা ঘটেছে?
বলা বাহুল্য, বর্তমানে কলকাতার রাস্তার অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি। সামান্য বৃষ্টির জমা জলে বেশিরভাগ রাস্তাই খানাখন্দে ভরা। প্রতিনিয়ত সেখানে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন পথ চলতি মানুষরা। আর এই রাস্তাঘাটের খারাপ পরিস্থিতির জন্যেই যে যানজটের মত পরিস্থিতি হয়েছে, তা এবার স্বীকার করে নিলো পুলিশ। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি পোস্ট করে সেই কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। আর এতেই স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই রাজ্যের সরকারের অনুন্নয়নের ফলেই রাস্তাঘাটের এত খারাপ পরিস্থিতি। আর সেই খারাপ পরিস্থিতির জন্যেই এই যানজটের মত সমস্যা।
এদিন কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করা হয়। যেখানে জানানো হয়, “রাস্তার খারাপ পরিস্থিতির জন্য, রাস্তায় জল জমার জন্য বাইপাস সংলগ্ন আম্বেদকর ব্রিজের কাছে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।” স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের পক্ষ থেকেই যখন রাস্তার খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে স্বীকারোক্তি সামনে এলো, তখন বোঝাই যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের সরকার কি উন্নয়ন করেছে! স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের এই স্বীকারোক্তি বিরোধীদের হাতে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিয়েছে তৃণমূল বিরোধীতার ক্ষেত্রে। এখন বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো পুলিশের এই পোস্টকে হাতিয়ার করেই কলকাতা শহরের অনুন্নয়ন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এগিয়ে বাংলা এবং উন্নয়নের মডেলকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছেন। যা রীতিমত চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে নবান্নের কাছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।