Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

মমতা বীরভূম ছাড়তেই ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কেষ্ট বনাম কাজলের লড়াইয়ে আক্রান্ত কর্মীরা!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গতকালই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম সফর শেষ করেছেন। তার সফর চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেসকে বেশ ঐক্যবদ্ধ দেখাচ্ছিল। কিন্তু তিনি বীরভূম সফর সেরে যেতে না যেতেই কি ফের শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? যেখানে দুই শিবিরের দ্বন্দ্বে আক্রান্ত হলেন কর্মীরা। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, আদৌ কি বীরভূমের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ হবে? যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী আসার পর অনুব্রত মণ্ডলের পাল্লা আরও ভারী হয়ে গেল, তিনি আরও বেশি করে ফোরফ্রন্টে চলে এলেন, তাতে কি ক্ষুব্ধ কাজল শেখ এবং তার অনুগামীরা? সেই কারণেই কি এবার চলছে আক্রমণের খেলা?

কি ঘটনা ঘটেছে? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম ছাড়তে না ছাড়তেই আবার শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এমনিতেই অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে ফিরে এসে আবার জেলা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে না হতেই বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় কাজল শেখের সঙ্গে সেই অনুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠীর সংঘর্ষের খবর সামনে আসতে শুরু করেছিল। বারবার করে দলের পক্ষ থেকে সেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হয়েছিল। আর এবার মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমে এসে সকলকে নিয়ে একসাথে চললেও ফের শুরু হয়ে গেল লড়াই। যেখানে পাড়ুইয়ের অবিনাশপুরে কাজল শেখের অনুগামীরা অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ।

অনুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠীর অনুগামীদের অভিযোগ, রাতে তারা চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। আর সেই সময় কাজল শেখের অনুগামীরা লোহার রড, লাঠি দিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুই জন তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী জেলা ছাড়তে না ছাড়তেই কি করে আবার দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার অনুগামীরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লেন, কেন তারা নেত্রীর বার্তাকে মান্যতা দিচ্ছেন না? তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। পাশাপাশি বীরভূম জেলায় দলের ওপরে যে বিন্দুমাত্র কন্ট্রোল নেই তৃণমূল নেত্রীর, তা আরও একবার তার বীরভূম সফর সেরে যাওয়ার সাথে সাথেই তৃণমূলের এই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের ঘটনা সামনে আসতেই পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Exit mobile version