Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

তৃণমূল সরকারের আমলে কি সব কিছুই ভুয়ো? লালবাজারের পদক্ষেপে উঠছে প্রশ্ন!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল সরকারের আমলে কি সব কিছুই ভুয়ো? কোনো ঘটনার মধ্যেই কি কিছু সত্যতা নেই? অনেকে সরকারি আধিকারিক সেজে নীলবাতির গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে বাংলাদেশ থেকে এসে ভোটার তালিকায় নাম তুলে নিচ্ছেন। অনেক ভুয়ো ডাক্তার, ও আইনজীবী মাঝেমধ্যেই ধরা পড়ছে রাজ্যে। আর এবার মমতা পুলিশ যে পদক্ষেপ নিলো, তাতে এই রাজ্যের আরও এক ভয়ংকর চিত্র সামনে চলে এলো। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা বলছেন, এই রাজ্যে যে সরকারটা চলছে, সেটাই তো একটা ভুয়ো সরকার। তাই বাদবাকি জিনিসগুলোর মধ্যে সত্যতা থাকবে কি করে? কিন্তু হঠাৎ করে এই ভুয়ো শব্দ নিয়ে এত মাতামাতি কেন? ঠিক কি ঘটনা ঘটেছে?

 

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসে লালবাজারের পুলিশের পক্ষ থেকে একটি চিঠি গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যেখানে আবেদন জানানো হয়েছে যে, ভুয়ো তথ্যের ভিত্তিতে যে সমস্ত পাসপোর্ট করা হয়েছে, তাতে সেই সমস্ত পাসপোর্ট বাতিল করা হোক। এক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতকে টার্গেট করেছে। যেখানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জন্মের শংসাপত্র ভুয়ো বলেই দাবি করা হয়েছে। তবে শুধু পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষকেই নয়, স্বাস্থ্য দপ্তরকেও চিঠি দিয়ে এই ভুয়ো শংসাপত্র যাতে বাতিল করা হয়, তার জন্যও আবেদন করেছে পুলিশ।

 

তবে এতটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই কলকাতা পুলিশ। কিছু জায়গা থেকে ভুয়ো জন্মের শংসাপত্র তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছে। যার মধ্যে হাওড়ার বাসুদেবপুর এবং মালদহের মানিকচক রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। আর এখানেই প্রশ্ন, কলকাতা পুলিশ পদক্ষেপটা সঠিক নিয়েছে। যদি কেউ ভুয়ো তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে থাকে, তাহলে অবশ্যই তা অন্যায়ের। সেক্ষেত্রে পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই সমস্ত অপরাধমূলক কাজ এই বাংলায় করার সাহস পাচ্ছেন কারা? কেন আসল মাথাকে ধরতে পারছে না পুলিশ? কেন তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না পদক্ষেপ? পাসপোর্ট হয়ে যাওয়ার পর কেউ যদি বিদেশে চলে গিয়ে থাকে, তাহলে তো আর কিছু করার নেই। হয়ত তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু তার আগে তো তিনি সেই পাসপোর্ট দিয়ে সদ্ব্যবহার করে নিয়েছেন। তাহলে ঘটনা ঘটার আগেই কেন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না? এটা অনেকটা আসলে “চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে” এইরকম বিষয় বলেই কটাক্ষ করছেন একাংশ।

 

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে সবকিছুই ভুয়ো এবং মিথ্যায় ভর্তি। যারা তৃণমূলকে ভোট দেয়, তারা ওপার বাংলা থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী। ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর যে পুলিশ তৃণমূলকে প্রতি সময় রক্ষা করে, সেই পুলিশের একটি পদক্ষেপই প্রমাণ করে দিল যে, এই রাজ্যে সব কিছুই ভুয়ো চলছে। যারা মিথ্যে তথ্য দিয়ে এই সমস্ত পাসপোর্ট তৈরি করেছেন, তারা অবশ্যই অপরাধমূলক কাজ করেছেন। কিন্তু পেছনে তো কোনো না কোনো বড় মাথা রয়েছে, যারা এই কাজে প্রশ্রয় দিয়েছেন। ফলে তারা প্রশাসনের অঙ্গ কিনা, তা অবশ্যই খুঁজে বের করা উচিত এই পুলিশের। আর সব থেকে বেশি যার জন্য এই গোটা রাজ্য জুড়ে ভুয়ো কারবার ছেয়ে পড়েছে, সেই মুখ্যমন্ত্রীকে নবান্ন থেকে ক্ষমতাচ্যুত করলেই রাজ্যে সবকিছুতে স্বচ্ছতা আসবে বলেই দাবি করছেন বিরোধীরা। ।

Exit mobile version