Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“মমতার কাছ থেকে বাংলা বাঙালি শিখতে হবে?” “খালা” বলে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এখন বাংলা ও বাঙালির প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তিনি দেখানোর চেষ্টা করছেন যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা ও বাঙ্গালিদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, বিজেপি বাংলা বিরোধী দল। তাই বাংলা ও বাঙালিকে রক্ষা করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র পথে নেমে লড়াই করছে। এমনটাই দাবি ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের। কিন্তু যে তৃণমূল সরকারে থাকার সময় পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু সনাতনীদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়ে, যেখানে দুর্গা ঠাকুরের মূর্তি ভাঙ্গা হয়, যেখানে সরস্বতী পুজো করতে গিয়ে আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে হয়, সেই তৃণমূল কতটা বাংলাপ্রেমী, তা নিয়ে তো বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “খালা” বলে সম্বোধন করে তার সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি হিন্দুরা কতটা বিপদের মুখে রয়েছে, সেই তথ্য সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, রাজ্য বিধানসভায় ইতিমধ্যেই বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। যেখানে বাংলা ও বাঙালি এবং এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আনা হবে এবং সেই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে বলেই খবর। তবে বাঙালির অস্মিতা রক্ষার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল বিধানসভায় আলোচনা করবেন, এটাকে মোটেই গ্রহণযোগ্য হিসেবে নিতে পারলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা শুধুমাত্র মুখের কথা নয়, একেবারে যুক্তি দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের কাছ থেকে বাংলা ও বাঙালি শেখার প্রয়োজন নেই। কিন্তু কেন এমন বললেন শুভেন্দুবাবু? এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি যে সমস্ত কারণ উল্লেখ করলেন, তা আরও ভয়ংকর। তার স্পষ্ট দাবি, খালা রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশ কারীদের বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি মুসলমানদের জন্য খালা লড়াই করছে। খালার লড়াই হচ্ছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের জন্য, এটা প্রত্যেকে জানে। এর সঙ্গে বাংলা ও বাঙালির অস্মিতার কোনো সম্পর্ক নেই। যে মমতা ব্যানার্জির আমলে হাওড়ার শ্যামপুরে দূর্গা ঠাকুর ভাঙ্গে, সরস্বতী পূজার অনুমতি নিতে কোর্টে যেতে হয়, তার কাছ থেকে বাংলা, বাঙালি শিখতে হবে?” অর্থাৎ একেবারে মুখের মত জবাব দিয়ে যে তৃণমূল কংগ্রেস, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ও বাঙালির অস্মিতার রক্ষার জন্য আন্দোলন করছেন, তাদের চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে যুক্তি খন্ডন করার মত কোনো জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আদৌ থাকবে কিনা, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন রাজ্যবাসীর মধ্যে।

 

Exit mobile version