প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, সমস্ত জায়গায় বিগত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল ভালো হয়নি, সেখানে পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে রদবদল করা হবে। অনেক জায়গাতেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে জেলা নেতৃত্বের মাধ্যমে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কাছে পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশিকা দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ মানতে পারছেন না তিনি। উল্টে জেলা নেতৃত্ব নয়, তাকে যিনি পদে বসিয়েছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা রাজ্যের পক্ষ থেকে নির্দেশ এলেই তিনি তার পথ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান। স্বাভাবিকভাবেই জেলা নেতৃত্বকে পাত্তা না দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।
ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্য জুড়ে যেখানে তৃণমূলের ফল গত লোকসভা নির্বাচনে ভালো হয়নি, সেখানেই রদবদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় চেয়ারম্যান পদে বদল ঘটাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু জেলা নেতৃত্বের মাধ্যমে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য রবি ঘোষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সাত দিনের ডেড লাইন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। উল্টে তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, এটা একটি প্রশাসনিক পদ। আর এই পদ তাকে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি অথবা রাজ্য নেতৃত্ব না জানালে তিনি এই পদ থেকে সরবেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। তবে পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে অপসারণকে ঘিরে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হতে শুরু করেছে। যেখানে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বা জেলা নেতৃত্বে নির্দেশকে তোয়াক্কাই করছেন না কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। উল্টে বর্তমান জেলা নেতৃত্বকে তৎকাল নেতৃত্ব বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই জেলা নেতৃত্বের নির্দেশকে অমান্য করে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ না দিলে তিনি পদত্যাগ করবেন না বলে জানাচ্ছেন, তাতে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
