Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

মমতার ওপর এতটাই তিতিবিরক্ত জনতা? ফেসবুক লাইভের কমেন্টকেই হাতিয়ার শুভেন্দুর!

 

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে যে, ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে তারা অতীতের থেকেও আরও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা যে ২০১১ সাল বা তার আগের মত নেই, তা সকলেই প্রায় জেনে গিয়েছেন। তবে তৃণমূলের যারা দলদাস হয়ে কাজ করছেন, তারা এখনও পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ পরাজিত করতে পারে। ভোটের বাক্সে তারা স্থানীয় নির্বাচনগুলিতে কিভাবে জয়লাভ করে, তা তো সকলেই জানেন। তবে চোখের সামনে একটা বিষয় দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা বর্তমানে কতটা খর্ব হয়েছে! এদিন ফেসবুক লাইভে সাধারন মানুষের পক্ষ থেকে করা কমেন্টকেই হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা কতটা নষ্ট হয়েছে, তার প্রমাণ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বর্তমান যুগ সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর। তবে সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক নেতারাও যখন নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন, তখন কার কোন কর্মসূচিতে কত মানুষের নজর রয়েছে, তা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই স্তরের মধ্যেই ডিজিটাল যুদ্ধ হতে দেখা যায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে দুই দলই মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আর এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী যখন কোনো কর্মসূচির লাইভ করেন, তখন সেই লাইভে যে সমস্ত কমেন্ট হয়, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে মানুষের কি অনুভূতি, তার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর যেকোনো কর্মসূচিতে সেখানে যে সমস্ত কমেন্ট হয়, তাকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা কিভাবে নষ্ট হয়েছে, তা বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী‌। আর সেখানেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা তার দল যে গগনচুম্বী সমর্থনের কথা বারবার করে বলছেন, তাকে খন্ডন করে দেন তিনি। একটি সামান্য উদাহরণ সামনে এনে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে জনপ্রিয়তা ২০১১ সাল বা তার আগে ছিল, এখন সেই জনপ্রিয়তার বিন্দুমাত্র কিছু নেই। আর তা তিনি যখন কোনো কর্মসূচি করেন, তখন যে ফেসবুক লাইভ হয়, সেই ফেসবুক লাইভের কমেন্টের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যায়‌। যেখানে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়া এবং পরিচিত নেতা কর্মী, তারা বাদেও সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে এই রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা এবং এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে সমস্ত কমেন্ট করা হয়, তাতেই বোঝা যায় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন মোটেই মানুষের আপন হতে পারছে না। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতটা মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন, এখন তার কাজের মধ্যে দিয়েই তিনি মানুষের কাছে ততটাই অপছন্দের কারণ হয়ে উঠেছেন। আর তা তার ফেসবুক লাইভে যখন কোনো কর্মসূচি হয়, তার নিচে যে সমস্ত কমেন্ট সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে করা হয়, তাতেই মানুষের যে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে যায় বলেই বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

Exit mobile version