Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

মমতার পাড়ায় বন্দিদশায় জীবন কাটছে আমজনতার? ঘরের খবর ফাঁস করে দিলেন শুভেন্দু!  

 

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটে নিজস্ব বাসভবনে থাকেন। তিনি নিজের মত করে নিজের বাড়িতে থাকতেই পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী থাকেন বলে তার বাড়ির আশেপাশে যারা বাস করেন, তাদের কার্যত দম বন্ধকর পরিস্থিতি। পুলিশের নিরাপত্তার কারণে তাদের বিভিন্ন বিধি-নিষেধের মধ্যে পড়ে থাকতে হয়। তারা নিজেদের মত করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন না। এমনকি বাড়িতে জোরে মাইক বাজানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাপারে তাদের ওপর বিধি নিষেধ জারি করা হয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। মুখ্যমন্ত্রী কোথায় থাকবেন, সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু তার নিরাপত্তার কারণে যেভাবে তার বাড়ির আশেপাশে সাধারণ মানুষদের জীবন কার্যত বন্দীদশায় পরিণত হয়েছে, এবার সেই ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটে অত্যন্ত সাধারণভাবে জীবন যাপন করেন। এই প্রচার মাঝেমধ্যেই তৃণমূল নেতাদের করতে দেখা যায়। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা নেন না বলেও দাবি করে তৃণমূল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যে কালীঘাটের বাড়িতে থাকেন, তার নিরাপত্তার কারণে সেখানকার অন্যান্য যারা প্রতিবেশী রয়েছেন, যারা সাধারণ মানুষ রয়েছেন, তাদের নানা বাধ্যবাধকতার মধ্যে থাকতে হয়। শুধুমাত্র এই এলাকায় যাতায়াতের কারণে প্রতিবেশীদের রীতিমত কার্ড ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তারা নিজেদের মত করে সাধারণ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন পালন করতে পারেন না, শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে। এতদিন কানাঘুষো এই সমস্ত কথা বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সম্প্রতি এসআইআর ফর্ম দিতে যাওয়া বিএলওকেও যেভাবে নিরাপত্তারক্ষীরা বাধাদান করেছিলেন, সেই ব্যাপারে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব নিরাপত্তার কারণে তার প্রতিবেশীদের কতটা দমবন্ধকর পরিস্থিতিড় এবার সেই তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে সম্প্রতি যে বিএলও এসআইআর ফর্ম দিতে গিয়েছিলেন, তাকে প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীরা যেভাবে সেই বাড়িতে প্রবেশের কারণে কড়াকড়ি করেছিলেন, সেই বিষয় নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আশেপাশে সাধারণ মানুষদের কতটা অস্বস্তির মধ্যে থাকতে হয়, সেই তথ্য তুলে ধরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গৌতমবাবু, বিএলও, তিনি গিয়েছিলেন। ওখানে তো ব্যাপক পুলিশের ব্যাপার থাকে। শুধু ওখানে নয়, ওই এলাকার সবাইকে আলাদা কার্ড দেওয়া আছে। ওই এলাকার মানুষজন কার্যত বন্দিদশা, বন্দী জীবন যাপন পালন করেন। ওখানকার কারো বাড়িতে মাইক বাজানো যাবে না, পুজো অনুষ্ঠানেও লোকজন যাবে না। ওখানকার ওই এলাকার লোককে আলাদা কার্ড দেওয়া আছে। হ্যাঁ, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দরকার। যে কোনো মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে চলে যান। কোনো মুখ্যমন্ত্রী তার বাড়ি বা আত্মীয়র বাড়িতে থেকে কোনো এলাকার মানুষকে বিব্রত করেন না।”

Exit mobile version