প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্য রাজনীতিতে একপক্ষ অপর পক্ষের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু মন্তব্য করছেন। আর সেই সমস্ত মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে চর্চা। এসআইআর আবহে গতকাল বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার করে তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ দেন। বিরোধীরা যদি জিততে পারে, বিরোধীদের এই নেতা যদি জিততে পারেন, তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। অতীতেও এইরকম অনেক কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে শোনা গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পরিবারের সঙ্গে রাজনীতি এবং সংগ্রাম একে অপরের পরিপূরক হলেও, এখন তা পেশাতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন সংকল্প সভা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর প্রত্যেকটি সভা থেকেই তিনি দাবি করছেন, রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর আমূল পরিবর্তন হয়েছে। একসময় তিনি সংগ্রাম করে উঠে আসলেও, এখন তার যে আচার আচরণ, তার পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি আর মানুষের মুখ্যমন্ত্রী নেই বলেই প্রত্যেকটি সভা থেকে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে গতকাল তৃণমূল সাংদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে কটাক্ষ করে একাধিক মন্তব্য করেছেন। আর তার রেশ তুলে ধরেই অতীতেও তিনি অনেক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু তারপর বিজেপির অনেক নেতা জিতে গেলেও, তিনি রাজনীতি ছাড়েননি বলেই পাল্টা খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য নিয়ে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “উনি এইরকম বাজার গরম করা কথা কতবার বলবেন বলুন তো? ২০১৯ সালে বললেন, সৌমিত্র খাঁ যদি একটা বুথে জিততে পারে, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। সৌমিত্র খাঁ জিতলেন। উনি রাজনীতি ছাড়েননি। তারপরে বললেন, অর্জুন সিং জিতলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। অর্জুন সিংহ ১৬ হাজার ভোটে জিতলেন। রাজনীতি ছাড়েননি। বিধানসভা ভোটের সময় নন্দীগ্রামে এসে বললেন, শুভেন্দু অধিকারী জিতলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো। তাহলে কতবার রাজনীতি ছাড়বেন, আর ধরবেন? মমতা ব্যানার্জি পরিবারের রাজনীতিটা এখন আর সংগ্রাম নয়, পেশাতে পরিণত হয়েছে। আর রাজনীতি যদি কারও পেশাতে পরিণত হয়, পেশা কেউ ছাড়তে চায় না। ছাড়াতে হয়। আর সেটা ছাড়ানোর জন্য বাংলার মানুষ প্রস্তুত।”
