Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

মমতার উস্কানিতে আক্রান্ত হতে পারেন ভোটকর্মীরাও? আগেভাগেই সাবধান হওয়ার বার্তা সুকান্তর!  

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালোমতই বুঝতে পেরেছেন যে, এসআইআর হতে চলেছে রাজ্যে। আর এসআইআর হলে যে অবৈধ ভোটার তাদের নাম বাদ যাবে। আর তাদের নাম বাদ গেলে তৃণমূলের যে ক্ষমতায় থাকা কার্যত অসম্ভব হয়ে যাবে, তা বুঝতে পেরেই কি এখন নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সংবিধানিক সংস্থাকে আক্রমণের পথ বেছে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? গতকাল তিনি নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে আক্রমণ করেছেন। আরও একাধিক বক্তব্য রেখেছেন। আর তার এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের কাছে যে, মুখ্যমন্ত্রী এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তিনি বুঝতে পারছেন যে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বিএলওদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। তাই যারা বিএলও হিসেবে নিযুক্ত হবেন, তারা যাতে তার কথামত চলেন, তার জন্য বিভিন্নভাবে পরিস্থিতিকে অন্য পথে ঘোরানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামত চললে যে নিজের নিরাপত্তাই বিঘ্নিত হতে পারে, সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভোট কর্মীদের বড় বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

এদিন গড়িয়াহাটে উত্তরবঙ্গের যে বন্যা বিপর্যয়, তা নিয়ে ত্রাণ সংগ্রহে নামেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন যে, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে এসআইআর প্রস্তুতির আগেই বিভিন্ন রকম মন্তব্য করছেন এবং ভোট কর্মীদের যে নিরপেক্ষ পদ্ধতি, তাকে বানচাল করার জন্য পরোক্ষে হুমকি দিচ্ছেন, তা নিয়ে তিনি কি বলবেন? আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই অপচেষ্টাকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সুকান্ত মজুমদার। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত ভোট কর্মীরা রয়েছেন, তারা যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় না চলেন এবং নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে না আনেন, তার জন্যও তাদের সাবধানবানী দিয়ে দেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের আশঙ্কা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সবাইকে বলছি আমরা। উদ্দেশ্য একটাই, উনি ক্ষেপাচ্ছেন। ওনার যারা পোষা রয়েছেন, তাদেরকে বলছেন, তোমরা নেমে বিশৃঙ্খলা তৈরি করো। আমি তাদের শুধু অনুরোধ করব, আপনারা কোনো বিশৃঙ্খলায় নামবেন না। আপনারা যদি অশান্তি করেন, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামবে, গুলি চলবে। আপনাদের পরিবারের লোকেদেরই প্রাণ যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তার দলের নেতাদের কোনো ক্ষতি হবে না।”

Exit mobile version