Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

মেট্রো রেলের উদ্বোধনে যাচ্ছেন না মমতা, শোনা মাত্রই পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে এই বার্তা শুভেন্দুর!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আগামী ২২ আগস্ট দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। যেখানে মেট্রো রুটের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তার। স্বাভাবিক ভাবেই এর মধ্যে কোনো রাজনীতি না দেখে বিরোধীতা সত্ত্বেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা রাজনৈতিক কারণেই হয়ত সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীকে বিজেপির নেতা ভেবে কোনো সরকারি অনুষ্ঠানে যদি না থাকেন, তাহলে সেটা যে বাংলার জন্যই অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের, এবং এই ধরনের সরকারি অনুষ্ঠানে যে রাজনীতি দেখা একেবারেই উচিত নয়, তা নিয়ে পাল্টা বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই বহু প্রতীক্ষিত মেট্রোর উদ্বোধন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তবে সেই কর্মসূচিতে কোনরূপ রাজনীতি না দেখে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিন্তু তিনি সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি রাজ্যের উন্নয়নের শরিক হতে চান না? কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলো। তিনি না থেকে কি বার্তা দিতে চাইছেন? তিনি কি এক্ষেত্রে রাজনীতি করছেন না? এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো বিরোধী দলের কোনো জনপ্রতিনিধিকে সরকারি কোনো কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানান না। কিন্তু দেশের সরকারের মানবতা একেবারেই আলাদা। তারা সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করতে চান। তাই সেই জন্য রাজ্যের বুকে হওয়া মেট্রো রুটের উদ্বোধনে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তবে সেখানে তার উপস্থিত না থাকার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েই এবার পাল্টা কটাক্ষ করার পাশাপাশি, উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবাইকে একযোগে কাজ করা উচিত বলে বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যাওয়া উচিত বলে মনে করি। কারণ কলকাতা মেট্রো একটা গর্বের বিষয়। আমি আশা করছি, উনি যাবেন। আমন্ত্রণ যখন পেয়েছেন। কিন্তু বিগত দিনে আমি দেখেছি, বিরোধী দলনেতাকে ডাকলে ওনার অস্বস্তি হয়। কিন্তু আমি মনে করি, রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে প্রত্যেকদিন রাজনীতি না করাই ভালো। এক্ষেত্রে সকলের এক জায়গায় থাকা উচিত। আর ওনারা ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদদের, বিধায়কদের কোনো জায়গায় ডাকেন না। এই সরকারের আমলে সবটাই অব দ্যা পার্টি, বাই দ্যা পার্টি, ফর দ্য পার্টি।”

Exit mobile version