Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

মেয়ের বিচার চাইতে গিয়ে জুটলো মার! হাসপাতালে ঝরঝর করে অভয়ার মাকে কাঁদতে দেখলেন শুভেন্দু!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ অভয়ার মা এবং বাবা অরাজনৈতিকভাবে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। তারা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি যে, তাদের মেয়ের বিচার হলো না, অথচ বিচার চাইতে গিয়ে এক বছর পরে তাদের এইভাবে পুলিশের লাঠির আঘাত খেতে হবে! আর সেই লাঠির আঘাতে ভর্তি থাকতে হবে হাসপাতালে! অভয়ার মায়ের সঙ্গে আজকে পুলিশ যে ব্যবহার করলো, তাতে লজ্জার ভাষা নেই গোটা বাংলার। পুলিশের এই ব্যবহারে সকলেই সোচ্চার হচ্ছেন, প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তবে সেই আন্দোলন কর্মসূচি থেকেই বিরতি নিয়ে নিজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনে অটল থেকে অভয়ার মাকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি যে কথা জানালেন, তা শুনে সকলেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছেন।

বলা বাহুল্য, এদিন অভয়ার মাকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি এমন এক কথা বলেন, যার ফলে সকলেই অভয়ার মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। শুভেন্দুবাবু বলেন, “অবস্থা সিরিয়াস। উনি কথা বলতে চাইছিলেন। আমি কথা বলতে বারণ করেছি। তবে এটা দেখছিলাম যে, চোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল পড়ছিল। এটা হয়ত মেয়ের বিচার চাইতে গিয়ে মার খেয়েছেন, সেজন্য হতে পারে। তবে আঘাতও লেগেছে। চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করেছেন।”

আর শুভেন্দুবাবু যখন এই কথা বলছেন, তখন গোটা রাজ্যবাসী চিন্তিত হয়ে পড়েছেন যে, সত্যিই এই জিনিসই কি প্রাপ্য ছিল অভয়ার পরিবারের? যাদের মেয়ের মৃত্যুর এক বছর ধরে তারা বুকে যন্ত্রনা পুষে রেখেছিলেন যে, সুবিচার পাবেন, তারা এখনও পর্যন্ত তো সুবিচার পাননি! আর আজ তারা নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন অরাজনৈতিক ভাবে। তাদের কোনো ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্য তো ছিল না। তারপরও পুলিশ যেভাবে অভয়ার মাকে মারধর করলো, তার হাতের শাঁখা ভেঙে দিলো, তাতে তো তিনি ভেঙে পড়বেন, এটাই স্বাভাবিক। তার চোখ দিয়ে জল পড়বে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। যিনি মেয়ের বিচার চাইতে গিয়ে মার খান, সেই মা তো নিজের কষ্ট বুকে চেপে রাখতে পারবেন না! তাই শুভেন্দু অধিকারী যখন তাকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন, তখন শুধুই দুচোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল‌ পড়ছিল অভয়ার মায়ের। ‌ বিরোধী দলনেতার মুখ থেকে এই কথা শোনার পরেই গোটা রাজ্যবাসী অত্যন্ত বেদনাহত।

Exit mobile version