প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
মুখে যতই যারা বলুক যে, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে সেইভাবে ক্ষমতাশীল দল হয়ে উঠতে পারবে না। তলায় তলায় যারা এই কথা বলছেন, তারাও এখন স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, বিজেপির পাল্লা ক্রমশ ভারী হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এখন বিকল্পের সন্ধানে রয়েছে। আর সেই বিকল্প যে ভারতীয় জনতা পার্টি হয়ে উঠছে, তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর যারা বিজেপির কিছু নেই বলে বাংলায় দাবি করেন, তারাই কি এত বেশি ভয় পাচ্ছেন বিজেপিকে? যে কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বঙ্গ সফরে আসছেন, তার বার্তা শোনার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা রাজ্যবাসী, ঠিক তখনই সেই নদীয়ার চাকদহের রাস্তায় যে দৃশ্য দেখতে পাওয়া গেল, তার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, এটা কোন ধরনের সভ্যতা? এটা কোন ধরনের সংস্কৃতি?
আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরেই নদীয়ার তাহেরপুরে পরিবর্তন সংকল্প সভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাত সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সেই সভায় যোগ দেওয়ার জন্য আসতে শুরু করেছেন। কিন্তু সাত সকালেই চাকদায় যে জাতীয় সড়ক রয়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার পড়তে দেখা গেল। আর সেই পোস্টার নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যেখানে কোনো পোস্টারে লেখা রয়েছে, “গো ব্যাক মোদী”, আবার কোনো পোস্টারে লেখা রয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর এই সভা “নাগরিকত্ব হরণের সভা।” স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, কারা এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে?
বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, যারা এই রাজ্যের বুকে প্রতিনিয়ত দাবি করে যে, রাজ্যে বিজেপি বলে কিছু নেই, তারাই এখন বিজেপিকে ভয় পেতে শুরু করেছে। আর সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী সভার আগে এই ধরনের পোস্টার দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করছে। তবে এই সমস্ত কিছু করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। মানুষ বিজেপির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। তাই “গো ব্যাক মোদী” বলে আর যাই হোক, বাংলার মানুষের মন থেকে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীকে মুছে ফেলা যাবে না। ২৬ এর নির্বাচন, তৃণমূলের বিসর্জন। আর এটা দেওয়ালে লেখা হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।
