প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিরোধীরা মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করে যে, কেন্দ্রের বর্তমান নরেন্দ্র মোদীর সরকার হচ্ছে বড়লোকদের সরকার, আদানি, আম্বানিদের সরকার। গরীব মানুষের দিকে গরীব মানুষের উন্নয়নের দিকে এই সরকারের কোনো মনোযোগ নেই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সভা, সমিতিতে সংসদ থেকে শুরু করে রাজপথ, এই অভিযোগ শোনা যায় বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের গলায়। কিন্তু এবার যে তথ্য সামনে এসেছে, বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে গর্বিত গোটা দেশ। যে রিপোর্টে এটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। আর এতদিন ধরে বিরোধীরা নরেন্দ্র মোদীর সরকার গরিবদের আরও গরীব করেছেন বলে যে অভিযোগ করেছে, তাও এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমত ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হচ্ছে বলেই দাবি করছেন একাংশ। কিন্তু কি আছে সেই রিপোর্টে?
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১১-১২ সালে ভারতের দারিদ্রতার হার ছিল ২৭.১ শতাংশ। তবে ২০২২-২৩ সালে তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। যেখানে ভারতের দারিদ্রতার হার দাঁড়িয়েছে ৫.৩ শতাংশে। আর সেই সমস্ত তথ্য পরিসংখ্যানের হিসেব করে দেখা যাচ্ছে যে, প্রায় এক দশকের মধ্যে ভারতের প্রচুর মানুষ দারিদ্রতার হার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। প্রায় ২৬ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ দারিদ্রতা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন বলে সেই রিপোর্টের পর দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মধ্যম এবং নিম্ন স্তরের যে আয়, সেক্ষেত্রে দারিদ্রতা যেভাবে কমে এসেছে, তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একসময় এক্ষেত্রে দারিদ্রতা ছিল ৫৭.৭ শতাংশ। কিন্তু এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৯ শতাংশে।
ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় বিরোধীদের কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এই তথ্য প্রমাণেই তো স্পষ্ট যে, মোদী সরকারের আমলে কতটা গরিবের সংখ্যা কমেছে ভারতবর্ষে। যারা এতদিন মোদি সরকারকে কটাক্ষ করতেন, তারাই বড়লোকদের সরকার ছিলেন। তাদের সরকারের আমলেই ক্রমাগত গরিবের সংখ্যা বেড়েছিল এই দেশে। কিন্তু বহু প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদীর সরকার যেভাবে কাজ করেছে, তাতে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টই স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, তার সরকারের আমলে ক্রমাগত গরিব মানুষের উন্নতি হয়েছে। প্রচুর মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আমলেই এসেছিল ভয়াবহ করোনা। সেই করোনার সময় প্রচুর মানুষের রুজি রুটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকেই একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল যে, প্রায় ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র সীমার নিচে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পরিস্থিতির সামনে আবার নতুন করে যেভাবে ভারতবর্ষ উঠে দাঁড়িয়েছে এবং যেভাবে দারিদ্র সীমায় থাকা মানুষের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে, তাতে স্পষ্ট যে, নরেন্দ্র মোদীর সরকার আখেরে গরিবদের জন্য উন্নয়নে চির প্রতিজ্ঞ। ক্রমাগত যেভাবে বহু প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে এবং দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে প্রচুর মানুষ উন্নতির মুখ দেখছেন, তাতে বিশ্ব ব্যাংকের এই রিপোর্টে গর্বিত গোটা দেশ। আর এই তথ্য পরিসংখ্যান সামনে আসতেই ভারতের এই সাফল্য দেখে কি করে তারাও উন্নতি করবেন, তা পরখ করার পাশাপাশি চমকে উঠছে গোটা বিশ্ব।