Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

 মোদীর সফরের মাঝেই রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি, নয়া দায়িত্বে কে? জেনে নিন!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– বিজেপির সর্বভারতীয় স্তরে যেমন সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে, ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গের সামনে নির্বাচন রয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান যিনি রাজ্য সভাপতি রয়েছেন, সেই সুকান্ত মজুমদার আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই তিনি দুটি পদে কি করে থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। তাই পশ্চিমবঙ্গেও সভাপতি বদল হতে পারে বলে চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। তবে তার মধ্যেই নরেন্দ্র মোদী যখন বঙ্গ সফরে রয়েছেন, ঠিক তখনই বিজেপির পক্ষ থেকে যে তৎপরতা লক্ষ্য করা গেল, তাতে রীতিমত আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

জানা গিয়েছে, জুন মাসের শেষের মধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হবে। তবে রাজ্য বিজেপিতে কি হবে? সুকান্ত মজুমদার থাকবেন, নাকি দায়িত্বে বসবেন অন্য কেউ? বিজেপির নিয়ম অনুযায়ী, দলে কোন পরিবর্তন হলে সবার আগে বড় ভূমিকা পালন করে জাতীয় পরিষদ এবং প্রদেশ পরিষদ। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পরিবর্তনের জন্য থাকে জাতীয় পরিষদ এবং রাজ্যস্তরে পরিবর্তনের জন্য থাকে প্রদেশ পরিষদ। জাতীয় পরিষদের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি রাজ্য থেকে একজন করে প্রতিনিধি থাকেন, আর প্রদেশ পরিষদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভা থেকে থাকেন একজন করে প্রতিনিধি।

আর বঙ্গ বিজেপিতেও যে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যিনি বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন, সেই দীপক বর্মন প্রত্যেকটি জেলার সভাপতি কাছ থেকে প্রত্যেকটি বিধানসভা কিছু একজন করে প্রতিনিধির নাম চেয়ে পাঠিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির প্রদেশ পরিষদ যে নতুন করে তৈরি হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে, সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগে যদি বিজেপির এই রাজ্যের প্রদেশ সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হয়, তাহলে সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের পর নিয়ম অনুযায়ী যে সমস্ত রাজ্যের সভাপতি পদের ঘোষণা বাকি থাকে, সেই সমস্ত ঘোষণা করে দেন সর্বভারতীয় সভাপতি। তাই বিজেপি এই রাজ্যে তার আগেই কি সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে, নাকি বাকি থাকবে সেই কাজ?

এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের রিটার্নিং অফিসার তথা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন বলেন, “সভাপতি নির্বাচন তো করতেই হবে। সেটা তো আমাদের সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। সভাপতি যিনিই হোক না কেন, তার নামটা প্রদেশ পরিষদের মাধ্যমেই নির্বাচিত হতে হবে। আশা করছি, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই প্রদেশ পরিষদ সদস্যদের নামের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে দিতে পারব।”

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রদেশ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করতেই যদি জুন মাস লেগে যায়, তাহলে তারপর আর হাতেগোনা কয়েকটা মাস। তারপরেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই বিজেপি যদি এই রাজ্যে সভাপতি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, তাহলে তখন নতুন সভাপতি দায়িত্ব কতটা বুঝতে পারবেন এবং নির্বাচন কতটা সামাল দিতে পারবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। আর অন্যদিকে সুকান্ত বাবুই যদি সভাপতি থাকেন, তাহলে তিনি দুই দিক কি করে একা সামাল দেবেন, তা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা।

Exit mobile version