Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“মোদীর টুইট দেখেই ভয় পেয়েই এই পদক্ষেপ মমতার” বড় খবর দিয়ে দিলেন সুকান্ত!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আমলে অনেক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিরোধীদের ওপর হামলা থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির মত একাধিক ঘটনা ঘটলেও, মুখ্যমন্ত্রী অনেক ক্ষেত্রেই তা স্বীকার করেননি। অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধীদের ওপর দায় চাপিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে যেভাবে ত্রাণকার্যে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হয়েছে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের, তার ফলে রীতিমত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। এমনকি গোটা বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা গিয়েছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। আর প্রধানমন্ত্রী টুইট করার পরেই কি রীতিমত ভয় পেয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বড় কোনো পদক্ষেপ হতে পারে, এই আশঙ্কায় আগেভাগেই খগেন মুর্মুকে দেখতে চলে গিয়েছিলেন? কেননা তার মত নেত্রীকে তো এর আগে কোনোদিন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের ওপর হামলা হওয়ার পরে সুর নরম করা তো দূরের কথা, এইরকম ভাবে তার খোঁজ খবর নিতেও দেখা যায়নি। কিন্তু হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী এইভাবে খগেন মুর্মুকে দেখতে যাওয়ার পেছনে অনেকেই অনেক কারণ খুঁজতে শুরু করেছিলেন। তবে আজ সেই ব্যাপারে বড় খবর দিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

এদিন রাজ্য বিজেপির দপ্তরে ২৬ এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই বৈঠকের আগেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েই যে খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়েছিলেন, তাছাড়া যে তিনি অত সহজে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের ওপর হামলা হলেও তাদের দেখতে যাওয়ার মানুষ তিনি নন, তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছিলেন, গোটা ঘটনায় জাতীয় রাজনীতিতেও আলোড়ন পড়ে গিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারও বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট। আর সেই কারণেই আগেভাগে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই তার খগেন মুর্মুকে দেখতে যাওয়া বলেই বুঝিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মহামহিম রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার অপশন রয়েছে। আমরা পরবর্তীতে ভাববো যে, সেখানে যাওয়া যায় কিনা। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় গৃহমন্ত্রী, প্রত্যেকটি বিষয়ে প্রতিমুহূর্তে খবর রেখেছেন। শুধু তাই নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টুইট দেখেই মুখ্যমন্ত্রী দৌড়েছেন। ওনারও তো ভয় কাজ করছে। সেই ভয়েই উনি খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়েছিলেন।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনোরকম রাজনৈতিক সৌজন্যতার খাতিরে নন, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলায় একজন সাংসদ যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতেই রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন যে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এবার হয়ত বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তাই প্রধানমন্ত্রীর টুইটের সাথে সাথেই খগেন মুর্মুকে দেখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌঁছে যাওয়া এবং তার পুরোটাই ভয়ের কারণে বলেই দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদার।

Exit mobile version