Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“মহালয়ার আগেই মা দুর্গার চক্ষুদান” মমতার বিরুদ্ধে হিন্দু শাস্ত্র অমান্যের অভিযোগে সোচ্চার সুকান্ত!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একসময় দুর্গাপূজা শুরু হতো সপ্তমী থেকে। কিন্তু এখন কালের নিয়মে সেই পুজো শুরু হয়ে যাচ্ছে মহালয়া থেকেই। পারলে মহালয়ার আগে থেকেই দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সেটা পূজো নাকি উৎসব, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন রাজ্যবাসীর মধ্যে। কেননা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিতৃপক্ষেই অনেক পুজোর উদ্বোধন করে দিয়ে হিন্দু শাস্ত্রকে অমান্য করেন বলে ইতিমধ্যেই একাধিকবার অভিযোগ করেছে বিজেপি। আর এবার পাণ্ডবেশ্বরে আগমনী যাত্রার অনুষ্ঠান থেকে সেই বিষয়টি তুলে ধরেই মহালয়ার আগে পিতৃপক্ষের সময় মায়ের চক্ষুদান নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের বুকে একাধিকবার দেখা গিয়েছে যে, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সপ্তমী থেকে একসময় যে দুর্গাপুজা শুরু হতো, এখন তার রেশ অনেক আগেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে কোনো অন্যায় বাংলা ও বাঙালি দেখতে পাচ্ছে না। তবে তাদের আপত্তির জায়গায় একটাই যে, ধর্ম এবং রীতিনীতি বলে তো একটা বিষয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত কিছুকে কি করে কেউ অমান্য করতে পারে? পিতৃপক্ষের সময় কি করে মায়ের চক্ষুদান হয়? এটা কি হিন্দু শাস্ত্রকে অমান্য করা নয়? অন্য কোনো ধর্মের রীতিনীতিকে কি এভাবে অমান্য করতে পারবেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্ন এতদিন বিজেপির পক্ষ থেকেই তোলা হয়েছিল। আর এবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই একেবারে রাখঢাক না করে দুর্গাপুজোয় যেভাবে শাস্ত্র অমান্য করা হচ্ছে, তা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দিদিমণি এখন পুজো লম্বা করে দিয়েছেন। আগে সপ্তমী থেকে পুজো শুরু হতো। এখন মহালয়া থেকে পুজো শুরু হয়। পারলে দিদিমণি তার আগেই চক্ষুদান করে দেবেন। মহালয়ার আগেই চক্ষুদান হয়ে যাচ্ছে। এবারেও দেখবেন, মহালয়ার আগেই চক্ষুদান হবে। আমাদের নিয়ম বলছে, এখন পিতৃপক্ষ চলছে। এরপর মাতৃপক্ষ শুরু হবে. সেই সময় মায়ের চক্ষুদান হওয়ার কথা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাব দেখাচ্ছেন, আমি মা দুর্গাকে এত ভালোবাসি!” অর্থ্যাৎ হিন্দু ধর্মের যে রীতিনীতি, তাকে সম্পূর্ণরূপে অমান্য করা নিয়ে এবার সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বসলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এখন শাসক শিবির থেকে এর পাল্টা কোনো বক্তব্য আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Exit mobile version