প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এর আগেও রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দীর্ঘ সময় ধরে তারা তল্লাশি চালিয়েছিল। আর আজ সকাল থেকেই আবার অ্যাকশন মুডে দেখা যায় ইডি আধিকারিকদের। যেখানে সুজিত বসুর অফিস সহ ১০ টি জায়গায় তল্লাশি চালানোর কাজ শুরু করেছে তারা। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে যে, তাহলে কি আজকেই বড় কোনো খবর পাওয়া যাবে? নির্বাচনের আগেই বড় কোনো তথ্য উদ্ধার করে রাজ্যের এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? তবে ইডি কি করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু রাজ্যের এই মন্ত্রী সুজিত বসুর তড়িৎ গতিতে উত্থান এবং যেভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে, তা যথেষ্ট সন্দেহজনক। এদিন তার অফিসে ইডির তল্লাশির মধ্যেই সেই সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
বলা বাহুল্য, আজ সকাল থেকেই রীতিমত তৎপরতা দেখা যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের মধ্যে। পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে পৌঁছে যায় ইডি আধিকারিকরা। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও উপস্থিত রয়েছেন। শুধু তাই নয়, সুজিত বসুর রেস্টুরেন্টেও তল্লাশি চালানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই একটা চর্চা শুরু হয়েছে যে, তাহলে বড় কিছু হওয়ার কি কোনো সম্ভাবনা রয়েছে? রাজ্যের এই মন্ত্রীর অফিসে যেভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাতে এবার কি আরও বড় অ্যাকশন হতে পারে? আর তার মাঝেই সেই সুজিত বসুকে নিয়ে বড় দাবি করে বসলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
এদিন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে ইডির তল্লাশি নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ইডি কেন তল্লাশি চালাচ্ছে, সেটা তারা বলতে পারবে। তবে আমি যতটুকু খবর পেয়েছি, পৌরসভায় বা কর্পোরেশনে যে নিয়োগ হয়েছিল, তাতে দুর্নীতি হয়েছে, তার জন্যই তদন্ত চলছে। তবে আমি যখন কলকাতায় আসি, তখন অনেকে বলেছিলেন যে, সুজিতবাবু একসময় ওই দমদম রেল স্টেশনের বাইরে ঠেলা লাগিয়ে এগরোল বিক্রি করতেন। খুব ভালো কথা, এগরোল বিক্রি করতে করতে আপনি প্রধানমন্ত্রীও হতে পারেন, মুখ্যমন্ত্রীও হতে পারেন। কোনো আপত্তি নেই। যে কোনো পরিশ্রমের কাজ, ভালো কাজ, পুন্যের কাজ। কিন্তু এই যে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা, এত বড় দুর্গাপুজো, নিজের জন্মদিনে, জানি না, উনি জন্ম নিয়ে কোন মহান কাজ করেছেন! আমাদেরও জন্মদিন হয়, কিন্তু এভাবে পালন হয় না। মুম্বাই থেকে শিল্পী আসে, তারা গান গায়। আমি আমার ওখানে প্রোগ্রাম করি, আমি জানি, তারা ঠিক কত টাকা নেয়! সুতরাং এই যে এত কোটি কোটি টাকা, এই টাকার উৎসটা কি, এটা তো বাংলার মানুষকে বলতে হবে।”