প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর নির্বাচনের আগে এমনিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন। বিরোধীদের দাবি, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বা ভোটার তালিকায় সংশোধনী শুরু হলে অনেকের নাম বাদ যাবে। আর তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। তাই তিনি এখন থেকেই ছটফটানি শুরু করে দিয়েছেন। আর তার মধ্যেই এবার চাপ বাড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির তদন্ত চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকারের। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার আরও বড় পদক্ষেপ নিলেন রাজ্যপাল। যেখানে রাজ্যপালের পদক্ষেপের পর সেই চাপ আরও দ্বিগুণ হয়ে এলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দিকে বলেই মনে করছেন একাংশ।
বলা বাহুল্য, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের আরও এক মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালিয়েছিল। যেখান থেকে প্রায় 40 লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। পরবর্তীতে সেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে দুবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডেকেও পাঠিয়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত শুরু করার চেষ্টা করেছিল। এমনকি রাজভবনের পক্ষ থেকে সেই তদন্তের ব্যাপারে অনুমতিও চাওয়া হয়েছিল। আর সেই ব্যাপারেই অবশেষে সবুজ সংকেত দিয়ে দিলো রাজভবন।
বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই ইডির পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছিল, তাতে রাজভবন সবুজ সংকেত দিয়েছে। যেখানে রাজভবনের পক্ষ থেকে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তদন্ত করার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা রইল না ইডির। স্বাভাবিকভাবেই রাজভবনের পক্ষ থেকে তদন্তের ক্ষেত্রে ইডিকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়ায় সবথেকে বেশি চাপে পড়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এখন রাজ্যের এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইডি যেমন স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে পারবে, তেমনই তদন্ত থেকে যদি বড় কোনো তথ্য উদ্ধার হয় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনো বড় পদক্ষেপ নেয়, তাহলে ২৬ এর নির্বাচনের আগে আরও বড় বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।