প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে কিছুদিন আগেই ওয়াকফ নিয়ে চরম বিক্ষোভ হয়েছে। একটি অংশের মানুষ মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত করেছিলেন। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় তদন্ত করছে এনআইএ। তবে যারা তাণ্ডবের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যেমন দাবি উঠেছে সাধারণ জনতার পক্ষ থেকে, ঠিক তেমনই এই হিংসার ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ তা পালন না হওয়ায় রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলো কলকাতা হাইকোর্ট।
জানা গিয়েছে, এদিন মুর্শিদাবাদে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য। যেখানে বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন যে, এখনও পর্যন্ত কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি? কেননা সামনেই উৎসবের মরসুম। দুর্গাপুজো রয়েছে। তার আগে কেন ক্ষতিপূরণ দিতে পারছে না রাজ্য? অর্থাৎ আদালতের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ, তার পরিপ্রেক্ষিতে হিংসার ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের কাছে এখনও সেই ক্ষতিপূরণ না পৌঁছনোয় কিছুটা হলেও রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্ট বলেই মনে করছেন একাংশ। যদিও বা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গোটা বিষয়ে রাজ্যকে এই ব্যাপারে জানানো নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এর পাশাপাশি আজ কলকাতা হাইকোর্টে এই মুর্শিদাবাদে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আরও একটি পর্যবেক্ষণ সামনে এসেছে। যেখানে আদালত এনআইয়ের যে ভূমিকা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। অর্থাৎ এতদিন এই হিংসার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু এনআইএর তদন্তেও আদালত খুব একটা সন্তুষ্ট নয়, তা আজ বিচারপতির পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে উঠে এলো বলেই খবর। সব মিলিয়ে রাজ্যের কাছে একদিকে জানতে চাওয়া যে, কবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং অন্যদিকে এনআইএ তদন্ত নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।