প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ গোটা রাজ্যের নজর ছিল ব্যাংকশাল আদালতের দিকে। কারণ ইতিমধ্যেই শুনানি পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন বিচারক। কিন্তু রায়দান তিনি স্থগিত রেখেছিলেন। কথা ছিল, গতকালই রায়দান প্রক্রিয়া হবে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবং কলকাতায় যেভাবে ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সেই রায় ঘোষণা হয়নি। আজ সেই রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। অবশেষে সেই রায় ঘোষণা হলো। কিন্তু রায়ের যে কথা সামনে এলো, তাতে স্বস্তি পেয়ে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। উল্টে ইডির যে হেফাজতে চাওয়ার আবেদন, তা খারিজ হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আজ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার যে জামিন মামলা, তার রায়দান হওয়ার কথা ছিল। গোটা রাজ্যবাসী সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন। বিরোধীরা দাবি করেছিল, রাজ্যের এই মন্ত্রীর জেলযাত্রা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ তদন্তের স্বার্থেই যেভাবে তাকে হেফাজতে নেওয়ার দাবি করছে ইডি, তা অত্যন্ত সঠিক পদক্ষেপ। তবে রায়দানে ইডির যে হেফাজতে চাওয়ার আবেদন, তা সম্পূর্ণ রূপে খারিজ হয়ে গেল। যেখানে বিচারক জানিয়ে দিলেন যে, চন্দ্রনাথ সিনহাকে হেফাজতে নিতে পারবে না ইডি। এক্ষেত্রে আগামীকাল এবং শুক্রবার রাজ্যের মন্ত্রীকে সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করতে পারবে তারা। এক্ষেত্রে ৫ টার মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রীকে ছেড়ে দিতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদালতের এই রায় সামনে আসার পর পুজোর মরশুমে যথেষ্ট স্বস্তি পেয়ে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী। অনেকেই ভাবছিলেন, তার জেলযাত্রা একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিচারক ইডির যে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন, তা সম্পূর্ণ রুপে খারিজ করে দিলেন। যার ফলে আগামীকাল এবং শুক্রবার শুধুমাত্র সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়ে তাদের যা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রয়োজন, তা জানাতে হবে মন্ত্রীকে। তার বাইরে আপাতত জামিন বহাল রইলো চন্দ্রনাথ সিনহার। আর এই নির্দেশ সামনে আসার পর কিছুটা হলেও হতাশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থেকে শুরু করে তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।