প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি বিশ্বকর্মা পূজোর রাতে বেধরক মারধর করা হয় নবদ্বীপের বিজেপি কর্মী সঞ্জয় ভৌমিককে। আর তারপরেই তার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। এমনকি পুলিশের কাছে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলেই অভিযোগ। আর আজ সেই নিহত বিজেপি কর্মীর খুনের প্রতিবাদে নবদ্বীপে কর্মসূচিতে যান শুভেন্দু অধিকারী। তবে সেই কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়ার আগেই সেই নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যেখানে মৃত বিজেপি কর্মীর বাবা মায়ের বুকফাটা কান্না দেখে বিচারের জন্য বড় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন শুভেন্দুবাবু।
আজ নিজের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নবদ্বীপে বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদের সেখানে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে মিছিলে যুক্ত হওয়ার আগেই সেই নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। যেখানে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আশ্বাস দেন, বিচারের জন্য তিনি যা করার করবেন, এক্ষেত্রে নিহত বিজেপি কর্মীর প্রতি যারা অন্যায় করেছেন, যারা তাকে মারধর করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত পদক্ষেপ নেয়নি। তাই পুলিশের এই অসহযোগিতার বিরুদ্ধে তিনি যে কলকাতা হাইকোর্টে যেতে চলেছেন, সেই কথাও জানিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন নবদ্বীপে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে বিরোধী দলনেতাকে দেখেই নিজের ছেলেকে হারানোর দুঃখ আটকে রাখতে পারেননি বয়স্ক বাবা-মা। তারা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বুকফাটা কান্না শুরু করেন। তাদের একটাই বক্তব্য, ছেলের মৃত্যুর যেন বিচার হয়। আর সেখানেই সকলের সামনে বিরোধী দলনেতা কথা দেন, নিহত বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর সঠিক বিচার করতে তিনি যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেবেন। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন যে দলদাসের মত কাজ করছে, সেই কথা বলে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন, মৃত সঞ্জয় ভৌমিকের দিদিকে নিয়ে তিনি গোটা ঘটনায় পুলিশ যেভাবে পদক্ষেপ নেয়নি, তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হবেন। অর্থাৎ এবার যে নিহত বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর সুবিচার চাইতে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে অভিযুক্তদের চাপে রাখতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।