প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২১ সালে তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তারা হিংসাত্মক রাজনীতি শুরু করে। দিকে দিকে বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা আক্রান্ত হন। এমনকি অনেকে তৃণমূলের হিংসার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। আর এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি তাকিয়ে ছিল আদালতের দিকে। কারণ আদালতে এই ব্যাপারে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তবে এবার নন্দীগ্রামে ২০২১ এ ভোট পরবর্তী হিংসায় দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলো শীর্ষ আদালত। যার ফলে রীতিমত হালুয়া টাইট হয়ে গেল তৃণমূল নেতাদের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই রাজ্যের বুকে এমনিতেই প্রতিনিয়ত বিরোধী নেতা কর্মীদের আক্রান্ত হতে হয়। তবে ২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা রীতিমত ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কোচবিহার থেকে শুরু করে মেদিনীপুর, দিকে দিকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হন। এমনকে অনেকের প্রাণ পর্যন্ত চলে যায়। যেমন নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় যে সমস্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো, তাদের বিরুদ্ধে কবে পদক্ষেপ হবে, তার দিকে সকলেই তাকিয়ে ছিলেন। তবে এবার সেই ঘটনায় ৪২ জন তৃণমূল নেতাকে শোকজ করে নোটিশ জারি করলো সুপ্রিম কোর্ট।
জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসায় দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান, আবু তাহের সহ ৪২ জনকে শোকজ নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এক্ষেত্রে রীতিমত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এক মাসের মধ্যে অভিযুক্তদের তাদের বক্তব্য জানাতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, এই মামলা কেন অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে না, সেই ব্যাপারেও হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানানো নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই নন্দীগ্রামে ২০২১ এ ভোট পরবর্তী হিংসায় দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় যারা মূল অভিযুক্তদের শাস্তি দেখতে চাইছিলেন, যারা কড়া পদক্ষেপ চাইছিলেন সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে, এদিন যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো, তার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের যে নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
