Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

নিউটাউনের বস্তিতে আগুন লাগিয়ে রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর চেষ্টা? “যেতে আপনাদের হবেই” আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই সব থেকে বেশি নজর ছিল নিউটাউনের দিকে। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শোনা যাচ্ছিল যে, নিউটাউনের প্রচুর বাংলাদেশী তারা রাজ্য ছাড়তে শুরু করেছেন। এমনকি সেখানে কাজের লোক পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন বিজেপির নেতৃত্বরাও। তারা দাবি করতে শুরু করেছিলেন, এসআইআরের পুরো পর্ব মিটে গেলে নিউটাউনে যে সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশি এলাকা রয়েছে, তা ফাঁকা হয়ে যাবে। আর এর মধ্যেই সম্প্রতি সে নিউটাউনের একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুড়ে খাক হয়ে যায় এলাকা। যার ফলে বিজেপির পক্ষ থেকে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে, এখন এই বস্তিতে যারা ছিলেন, তাদের আগুনে ঘরবাড়ি সব পুড়ে গিয়েছে, এটা দেখিয়ে সেই সমস্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রেখে দেওয়ার চেষ্টা করবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে যতই আগুন লাগিয়ে দিন, আর যতই পুড়িয়ে দিন, কোনোভাবেই যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রাখা যাবে না এবং সেই কৌশল যে ব্যর্থ হবে, তা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সম্প্রতি যে নিউটাউন এলাকায় সব থেকে বেশি অবৈধ বাংলাদেশি রয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল, সেই নিউটাউনের একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুরো এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরেই নানা মহলে নানা কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অনেকেই দাবি করছেন, এটা আসলে অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা। এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে যারা এখানে ছিলেন, তাদের সমস্ত কাগজ পুড়ে গিয়েছে, তাই তারা কোথায় প্রমাণ পাবেন, এমনটা দাবি করা হবে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের বাঁচানোর চেষ্টা হবে বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বরা। তবে তৃণমূল যতই এই অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করুক, শেষ পর্যন্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যারা অনুপ্রবেশকারী, তাদের বিদায় নিতেই হবে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই নিউটাউনের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এসব হয়েছে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর জন্য। ওরা যাতে ডকুমেন্ট শো করতে না পারে। তবে পারবে না। প্রজোনি ম্যাপে নির্বাচন কমিশন তাদের যে অত্যাধুনিক আইটি সিস্টেম দিয়ে বের করেছে, তাই আগুন লাগান আর পুড়িয়ে দিন, কিছু করতে পারবে না। যেতে আপনাদের হবেই‌। যেতে হবেই। আপনার সঙ্গে আমার ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যেবেলা কথা হবে।”

Exit mobile version