Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

নিয়োগ দুর্নীতির মত যুবভারতী কাণ্ডেও ভয়ংকর দুর্নীতি? শুভেন্দুর তথ্যে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি যুবভারতীদের যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে যে প্রচুর যুবসমাজ ক্ষিপ্ত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদেরকে মিসগাইড করে যেভাবে কিছু মানুষ নিজেকে আকড়ে ধরেছিলেন এবং তার ফলে তারা যেভাবে হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটেও মেসিকে দেখতে পারেননি, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। ব্যাপক চাপে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার। ইতিমধ্যেই ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রী তার পদত্যাগ পত্রে অনুমোদন দিয়েছেন বলে খবর। তবে এই সমস্ত কিছুই যে নাটক ছাড়া আর কিছু নয়, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিরোধীরা। আর তার মাঝেই যুবভারতীতে যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে, যেভাবে যুব সমাজ মেসিকে দেখতে পারেননি, তা নিয়ে যখন ক্ষোভ রয়েছে, ঠিক তার পাশাপাশি এই ঘটনার পেছনেও রয়েছে ভয়ংকর দুর্নীতি। নিয়োগ দুর্নীতির মতই কি যুবভারতীর এই বিশৃঙ্খলা যে তৈরি হলো, তার নেপথ্যে কি বড় কোনো দুর্নীতির তথ্য সামনে আসবে? এদিন সেই ব্যাপারে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সম্প্রতি যুবভারতীতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু রাজ্য বা দেশের বুকে চর্চা হচ্ছে না। গোটা বিশ্বের কাছে রীতিমত প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে বাংলার ব্যবস্থা। যেভাবে মন্ত্রীরা সেখানে আদিখ্যেতা করেছিলেন, যেভাবে সেখানে প্রচুর টাকার টিকিট কেটেও কিছু মানুষ মেসিকে দেখতে পারেনি, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দর্শকরা। সকলেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং সুজিত বসুকে দায়ী করেছেন। তাদের পরিবারের লোককে সামনে এগিয়ে দিয়েছে, যেভাবে মেসির ধারে পাশে তাদের রাখা হয়েছিল, তাতে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছিলেন দর্শকরা। স্বাভাবিক ভাবেই এই নিয়ে তাদের অসন্তোষ থাকবে, এটা অত্যন্ত সাধারণ বিষয়। কিন্তু এর পাশাপাশি এবার যে মারাত্মক অভিযোগটা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা করে দিলেন, তার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি যুবভারতী কাণ্ডেও বড় কোনো দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে?

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “এগুলো সব আইওয়াশ। যে মামলা আছে, তার আগে এই পদক্ষেপ করে বলার চেষ্টা করবে যে, আমরা অ্যাকশন নিয়েছি। এগুলো সব লোক বুঝতে পারছে। ২০ টাকার জলের বোতল ২০০ টাকায় এলো কি করে? ১০ টাকার চিপস ১০০ টাকা হলো কি করে? ২৫ টাকার কাঁটা ফলের প্লেট ২৫০ টাকায় বিক্রি করলো কে? শতদ্রুর লোকেরা কালকে বলেছে, আমি খুব দায়িত্ব নিয়ে বলছি যে, অরূপ বিশ্বাসের লোকেরা ২২ হাজার টিকিট নিয়েছে ওর কাছ থেকে। ২২ হাজার টিকিট তৃণমূলকে দিতে হয়েছে অরূপ বিশ্বাসের মাধ্যমে। এই টিকিট যে শুধু বিতরণ হয়েছে, তাই নয়, বিক্রি হয়েছে। এটা কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি। এর তদন্ত কেন হবে না? শুধু চিটিংবাজি হয়েছে, তা তো নয়। এটা তো একটা দুর্নীতি। নিয়োগ দুর্নীতির মত, কয়লা দুর্নীতির মত এটাও একটা বৃহত্তর দুর্নীতি।”

Exit mobile version