প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে যে এসআইআর হয়েছে, সেটা কোনোমতেই মেনে নিতে পারছেন না। গতকাল উত্তরবঙ্গের সাংবাদিক বৈঠক থেকে নোটবন্দির মত ভোটবন্দি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে পশ্চিমবঙ্গের মত বাকি রাজ্যগুলিতেও এসআইআর হয়েছে। সেখানে বিজেপি বিরোধী দলগুলো এত চিৎকার চেঁচামেচি না করলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কেন এর বিরুদ্ধে এত বিরোধিতা করছেন, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। আর এবার ছন্দ মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নোট বন্দির মত ভোট বন্দি হচ্ছে বলে যখন মন্তব্য করলেন, ঠিক তখনই পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে কবিমনস্ক বলে তার এবং তার দলের পাপের ভান্ডার ফাঁস করে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
এসআইআর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও কোনোমতেই পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তাকে মেনে নিতে পারছে না। যার ফলে বিজেপি দাবি করছে যে, এসআইআর হলে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাওয়ার আতঙ্ক তৃণমূলের মধ্যে গ্রাস করেছে। কারণ তারা জানে, এই অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ গেলে তারা আর ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না। আর সেই কারণেই এসআইআর যাতে না হয়, তার জন্য সব রকম চেষ্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। কিন্তু কোনভাবেই যখন তাকে আটকানো গেল না, যখন এই বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে, তখন আরও বেশি অস্থিরতা শুরু হয়েছে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের মধ্যে। যার ফলে এবার এসআইআরের বিরোধিতা করতে গিয়ে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি যা খুশি তাই বললেও, পাল্টা তার জবাব দিতে ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নোটবন্দির মত ভোট বন্দি করা হচ্ছে বলে যে মন্তব্য, সেই বিষয় নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “নোট বন্দি তো হয়েছিল। এখন বাংলাদেশী রোহিঙ্গা বন্দী, মৃত ভোটার বন্দি, ভুয়ো ভোটার বন্দি, এ তো হবেই। আর মুখ্যমন্ত্রী কবি মনস্ক। ওনার এই ছন্দবদ্ধতার প্রতিদিন প্রতিক্রিয়া দেওয়া সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী এসআইআর নিয়ে কথা বলছেন একটাই কারণে, উনি নিজের পাপ, নিজের দলের পাপ ঢেকে রাখবার জন্য। আর এসআইআরকে ঢাল করে কতদিন চলবেন! মানুষ ভুলবে না। মানুষ রাজনৈতিকভাবে অচেতন নয়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মূর্খ নয়।”
