Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

নতুন করে পরীক্ষা নেওয়াই সার! সুপ্রিম কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে SSC! ফের শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা?

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০১৬ সালের পুরো প্যানেল নিয়োগ দুর্নীতির কারণে বাতিল করে দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তারপর সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এসএসসিকে যারা যোগ্য, তাদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে এসএসসি আবার নতুন করে পরীক্ষা নেয়। যেখানে নয়া চাকরিপ্রার্থীরাও পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে ভেরিফিকেশনে যাদের ডাকা হয়েছে, তার মধ্যে অনেকেই দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন। যার ফলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এসবের মধ্যেই এবার এসএসসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলো দেশের শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিলো সুপ্রিম কোর্ট। যার ফলে কিছুদিন আগে এসএসসির নবম-দশম এবং একাদশ দ্বাদশের যে পরীক্ষা হয়েছে এবং যার ফলাফল বেরিয়েছে, তার ভবিষ্যৎ কি হবে, তা নিয়েই তৈরি হলো বিরাট ধোঁয়াশা।

আজ সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে আদালতের পক্ষ থেকে এসএসসির ভূমিকা নিয়ে তোলা হয় বড়সড় প্রশ্ন। যেখানে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করার পর যারা যোগ্য, তাদের জন্য কি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা যায়, তা এসএসসিকে সংগঠিত করার কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু এসএসসি যোগ্য চাকরিহারাদের পাশাপাশি যারা নতুন পরীক্ষা দেবে, তাদের জন্য পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে যারা নয়া পরীক্ষার্থী, তারা এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে, যারা যোগ্য চাকরিহারা, তাদের কেন বাড়তি নম্বর দেওয়া হবে? আর তাদের পক্ষ থেকে সেই প্রশ্নটা তোলাটাও স্বাভাবিক। ফলে এই বিষয় নিয়ে আরও একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে গোড়ায় গলদ যে এসএসসি তৈরি করে রেখেছে এবং যারা যোগ্য, যারা চাকরি হারিয়েছিলেন, তাদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া না করে যেভাবে নতুন চাকরিপ্রার্থীরাও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এবং সেটা এসএসসির পক্ষ থেকে করানো হয়েছে, তাতে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলো দেশের শীর্ষ আদালত।

এদিন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। এসএসসির উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার উদ্দেশ্য ছিল, যারা চিহ্নিত অযোগ্য ছিলেন না, যারা চাকরি হারিয়েছিলেন, তাদের চাকরির সুযোগ দেওয়া। তার জন্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করা। এই যে নতুন করে শূন্যপদ তৈরি করা হলো, নতুন প্রার্থীরা যারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেন, এই সিদ্ধান্ত এসএসসি নিয়েছে। আদালত এমন নির্দেশ দেয়নি।” অর্থাৎ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, যারা ২০১৬ এর প্যানেলে যোগ্য ছিলেন, যারা চাকরি হারিয়েছিলেন, তাদের কি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করা যায়, সেই দিকে নজর দিতে। কিন্তু এসএসসি নতুনদেরকেও সেই চাকরি পরীক্ষায় সুযোগ করে দিয়েছিলেন, আর তা যে এক কথায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করা, তা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলো শীর্ষ আদালত। এমনকি সমস্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হলো কলকাতা হাইকোর্টে। স্বাভাবিকভাবেই যে পরীক্ষা হয়ে গেল, যেখানে যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষিকার পাশাপাশি প্রচুর নয়া চাকরিপ্রার্থীরাও পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাদের সকলের ভবিষ্যৎ বিরাট প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল এবং এর জন্য আদালতের নির্দেশ অমান্য করা এসএসসি সবথেকে বড় দায়ী বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।

Exit mobile version