প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসন কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নিয়ে নেওয়া উচিত বলে দীর্ঘদিন থেকেই দাবি করেছে বিরোধীরা। তবে সম্প্রতি রাজ্যে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে, যেভাবে ত্রাণ কাজে সামিল হতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধি এবং একজন সাংসদ, তাতে কেউ আর মুখ বন্ধ করে থাকতে পারছেন না। সকলেই দাবি করছেন যে, এই পরিস্থিতিতে কোনোদিন পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করা প্রয়োজন এবং এই রাজ্যে দুষ্কৃতীরাজ বন্ধ করতে রাষ্ট্রপতির কাছে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারি করার মত সুপারিশ করা প্রয়োজন রাজ্যপালের। আর আজ জল্পনা বাড়িয়ে রাজ্যপাল দেখা করেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। যার ফলে বিভিন্ন মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে যে, তাহলে কি অবশেষে বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী রাজ্যে জারি হতে চলেছে রাষ্ট্রপতি শাসন?
আজ জল্পনা বাড়িয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আর সেই খবর সামনে আসার সাথে সাথেই বিভিন্ন মহলে কৌতুহল তৈরি হয় যে, তাহলে কি অবশেষে রাজ্যে বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করার কাজ শুরু হয়ে গেল? রাজ্যপাল কি রাষ্ট্রপতির কাছে ৩৫৫ বা ৩৫৬ জারি করার মত কোনো সুপারিশ করবেন? আর সেই বৈঠকের পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সাথে সাথেই রাজ্যপালকে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিনি। ঠিক কি বললেন রাজ্যপাল?
এদিন সাংবাদিকরা রাজ্যপালকে প্রশ্ন করেন যে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করছে, সেই মতই কি তিনি পদক্ষেপ নিলেন? রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তিনি কি পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার ব্যাপারে কোনো সুপারিশ করলেন? সিভি আনন্দ বোস বলেন, “গণতন্ত্রে ভিন্ন মত থাকে। রাজ্যপাল হিসেবে সবকিছু বিবেচনা করে দেখা উচিত। মাঠে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে তবেই কিছু সুপারিশ করা উচিত আমার। রাজ্যপাল হিসেবে কি সুপারিশ করবো, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।” তবে কি ভাবনা চিন্তা করছেন তিনি, তার সেই ভাবনা চিন্তা কি রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষেই হতে চলেছে? সেই রহস্য কিন্তু রাজ্যপালের এই দিনের মন্তব্যের পর ক্রমশ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।