প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসআইআর আবহে কতটা ভয় পেয়েছেন, তা অতীতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ বারবার যখন তিনি এসআইআর স্থগিতের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন, তার বিরোধিতা করেছেন, তখনই বোঝা গিয়েছিল যে, অবৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে তৃণমূলের আর ক্ষমতায় থাকা হবে না। আর সেই আতঙ্কেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআরের এত বিরোধিতা করছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই সমস্ত কথাই এতদিন বলা হয়েছে। তবে আজ সকলের নজর ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই এসআইআর আবহে বনগাঁয় যে সভা, সেই সভা থেকে, তিনি কি বার্তা দেন। অবশেষে সেই সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেই সমস্ত কথা বলেছেন, তা নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে এমনিতেই প্রশ্ন তৈরি হয়। আর এসআইআর আবহে তিনি যখন ছটফট করছেন, তিনি যখন আতঙ্কিত, তখন আজকের সভা থেকে তিনি যে এমন কিছু বলবেন এবং সেটা নিয়ে যে আরও বেশি করে প্রচার হবে এবং তিনি যে সমালোচনার মুখে পড়বেন, সেই ব্যাপারে সকলেই প্রায় নিশ্চিত হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন, বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি আজকের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একটি মন্তব্য করেছেন, যা শুনে হাসি থামাতে পারছেন না বিজেপি নেতারা।
এতদিন এসআইআর নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ বনগাঁয় একটি সমাবেশ ছিল। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তার বিভিন্ন মন্তব্য ঘিরে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিরোধীদের মধ্যে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতিমত বিজেপির উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, “আমায় বাংলায় আঘাত করলে….কারণ মানুষকে আঘাত করলে, আমি মনে করি, আমায় আঘাত করছে। তাই আমায় আঘাত করলে, আমি সারা ভারতবর্ষ হিলিয়ে দেব। এটা মাথায় রেখো। নির্বাচনের পরে আমিও একটু দেশটা চষে বেড়াব।” আর মুখ্যমন্ত্রীর এই দেশ হিলিয়ে দেওয়ার যে মন্তব্য, তা শুনে অট্টহাসি শুরু হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।
বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের পক্ষ থেকে পাল্টা টিপ্পনি কেটে বলা হচ্ছে, এতদিন ধরে তো তিনি দেশকে হিলিয়ে দেওয়ার মত অনেক কাজ করেছেন। বাংলাকে যেভাবে তিনি ধ্বংস করেছেন, যেভাবে বাংলার ডেমোগ্রাফি পরিবর্তন হয়েছে, তাতে তিনি যে দেশের ভৌগোলিক দিক থেকে একটা বড় ক্ষতি করেছেন, দেশকে হিলিয়ে দিয়েছেন, তা নতুন করে বলতে হবে না। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে তিনি যদি এই দেশ হিলিয়ে দেওয়ার কথা বলে থাকেন, তাহলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের সাগরে ভাসছেন। এর আগেও তিনি বিজেপিকে শূন্য করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালে তার দলের কি করুণ পরিস্থিতি হয়েছে, তা তিনি দেখেছেন। তাই তার এই ধরনের গরমাগরম বক্তব্য পোগো চ্যানেলের কার্টুন দেখে হাসি পাওয়া ছাড়া আর কোনো কিছু নয় বলেই খোঁচা দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ট মহল।
