Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

পাখির চোখ বাংলা, ফের বঙ্গে আসছেন মোদী!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এত দিন যারা বলছিলেন যে, বিজেপি এই বাংলা নিয়ে সিরিয়াস মনোভাব পোষণ করছে না, তাদের মুখে কার্যত ঝামা পড়ে যাচ্ছে। মে মাসেই রাজ্যে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ। আর এখন যা খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রত্যেক মাসেই তারা বাংলায় এসে একাধিক সভা করবেন। আর এই সমস্ত খবরের মাঝেই ফের ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বঙ্গ সফর নিয়ে চলে এলো নয়া আপডেট। এবার নরেন্দ্র মোদী বাংলায় আসলে তাকে এমন একটি জায়গায় সভা করানো হতে পারে, যা রাজনৈতিক দিক থেকে বরাবর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এলাকা বলেই পরিচিত। কিন্তু কোন সেই এলাকা? কোন এলাকায় সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী? আর কবেই বা বাংলায় আসছেন তিনি?

বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, আগামী ২০ জুন যেদিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পরিচিত, সেই দিন ফের বাংলায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তিনি সেদিন বাংলায় আসলে একদিকে সেই দিনের যেমন মাহাত্ম্য রয়েছে,, ঠিক তেমনই মোদীর এই সফরকে কাজে লাগিয়ে নন্দীগ্রামে একটি সভার আয়োজন করতে পারে বিজেপি। ইতিমধ্যেই তার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। বলা বাহুল্য, এই ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই দিনটিকেই বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে প্রথম থেকেই এই দিনের বিরোধীতা করে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই দিনকে বেছে নিয়েই যদি প্রধানমন্ত্রী বাংলায় আসেন এবং সভা করেন, তাহলে শাসক শিবিরের চাপ অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে এর পাশাপাশি আরও একটা বিষয় রয়েছে। যে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, নন্দীগ্রামে এবার প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সভা করাতে পারে বিজেপি। যদি তাই হয়, তাহলে কিন্তু সেটাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য অত্যন্ত চাপের। কেননা নন্দীগ্রাম মানেই শুভেন্দু অধিকারী বারবার করে বলেন যে, তিনি রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে পরাজিত করেছেন। হেরে তিনি অন্য জায়গা থেকে জিতে আবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ফলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিধানসভা কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী যদি এবার সভা করেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজিত হওয়ার পুরনো স্মৃতি তিনি উসকে দিতে পারেন। যেটা তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত অস্বস্তিকর। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী যদি আবার বাংলায় আসেন চলতি মাসে, তাহলে সেটা যে বিজেপি কর্মীদের কাছে প্রচন্ড উন্মাদনার, তা বলার অবকাশ রাখে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অফিশিয়ালি বিজেপির পক্ষ থেকে এরকম কোনো ঘোষণা করা হয়নি। তাই যতক্ষণ না ঘোষণা হচ্ছে, ততক্ষণ গোটা বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব।

বিজেপির দাবি, খেলা তো সবে শুরু হয়েছে‌। ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে পরিবর্তন নিশ্চিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা নিজেও বুঝে গেছেন। নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ, এমনকি গোটা বিজেপি পরিবার বাংলার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কারণ বাংলায় অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গাদের উৎপাত, সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুড়ঘর গোটা দেশকে শেষ করে দিচ্ছে। তাই বাংলার দুর্নীতি এবং পরিবারবাদকে উৎখাত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কেন্দ্র। এবারের নির্বাচনে কোনোমতেই তৃণমূল আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

Exit mobile version