Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

পাকিস্তানকে নিয়ে গদগদ ভাব, সন্ত্রাসবাদকে সরাসরি মদত আইএমএফের!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারত-পাক যুদ্ধের আবহের পর থেকেই পাকিস্তানকে টাইট দেওয়ার জন্য সব রকম পন্থা অবলম্বন করেছে ভারত। অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে তারা। পরবর্তীতে আইএমএফের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে ঋন দেওয়া হলেও তাদেরকে ঋণ দেওয়া মানেই সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া বলেই মন্তব্য করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এক কথায় তিনি বুঝিয়ে দেন, পাকিস্তানকে কোনোমতেই ঋণ দেওয়া উচিত নয়। এমনকি গোটা ভারতবর্ষ থেকে রাজনাথ সিংহের এই বক্তব্যের প্রতি সহমত পোষণ করা হয়। কিন্তু এবার সেই পাকিস্তানকে নিয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে দিলো আইএমএফ।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভুজ বিমান ঘাঁটি থেকে আইএমএফ যেভাবে পাকিস্তানকে ঋন দিয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি বলেন, “আইএমএফ পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য করেছে মানে পরোক্ষে সেই সন্ত্রাসবাদকেই মদত দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানকে যে কোনো ধরনের সাহায্য করার অর্থ, সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্য করা। ওরা সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য মাসুদ আজহারকেও আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। ভারত চায়, নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার।”

আর ভারতের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য আসার পরেই কেন পাকিস্তানকে ঋন দিয়েছে আইএমএফ, তা নিয়েই তাদের পক্ষ থেকে এলো বিবৃতি। এদিন আইএমএফের কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জুলি কোঝাক বলেন, “পাকিস্তানকে যা শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ করা হয়েছে বলেই জানতে পেরেছে আমাদের বোর্ড। এমনকি বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কারের দিকে এগিয়েছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করেই ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের বোর্ড। মার্চ মাসে নির্ধারিত সময়েই পাকিস্তানের অবস্থা নিয়ে রিভিউ করা হয়। মে মাসে সেই পদ্ধতি শেষ হতেই প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএমএফের এই বক্তব্যের পরে পাকিস্তানের অনেকটাই উজ্জীবিত হয়ে যাবে। যা ভারত সহ যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের ক্ষেত্রে এই খবর অত্যন্ত হতাশাজনক। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে, তা সকলেই জানে। কিন্তু তারপরেও তাদের এইভাবে অর্থনৈতিক সাহায্য করা সন্ত্রাসবাদ বিরোধী দেশগুলোর কাছে অত্যন্ত চিন্তার কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version