Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমরা পাল্টা মারব” আক্রান্ত সাংসদকে দেখে এসেই চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
উত্তরবঙ্গের ত্রাণকার্যে শামিল হতে গিয়ে যেভাবে বিজেপির এক সাংসদ এবং এক বিধায়ক আক্রান্ত হয়েছেন, তাতে অনেকের মধ্যেই অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সকলেই বলছেন যে, এরপরেও কেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চুপ করে রয়েছে? এরপরেও কেন বসে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? কেন তারা এই রাজ্যের প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপটুকু নিচ্ছে না! আর কতদিন তারা মুখ বন্ধ করে সবকিছু সহ্য করবে? আর বঙ্গ বিজেপিই বা কেন প্রতিরোধের রাস্তা বেছে নিতে পারছে না? রাজ্য প্রশাসন, রাজ্য পুলিশ যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না, তারা তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা এই রাজ্যের পুলিশের নেই, তা তো বিজেপি খুব ভালো মত জানে। তাহলে পাল্টা প্রতিরোধের রাস্তা তারা যদি বেছে না নেয়, তাহলে কর্মীদের মনোবল তারা কি করে বৃদ্ধি করবে? এই প্রশ্ন বিজেপির মধ্যে থেকেই অনেকে তুলতে শুরু করেছিলেন। তবে আজ আক্রান্ত সংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে হাসপাতাল থেকে দেখে এসেই বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

আজ শিলিগুড়িতে বেসরকারি হাসপাতালে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে দেখতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। যেখানে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত হামলার ঘটনার দিনের বিবরণ শোনেন তিনি। আর তারপরেই বাইরে বেরিয়ে এসে পুলিশ এখনও পর্যন্ত যেভাবে কাউকে গ্রেফতার করেনি, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট ভাষায় এটাও বুঝিয়ে দেন যে, পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি এবার পাল্টা মার দেওয়ার রাস্তায় হাঁটবে। অর্থাৎ বিজেপির জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে কর্মীদেরকে একতরফা ভাবে মেরে যদি তৃণমূল ভাবে যে, তাদেরকে ভয় দেখানো যাবে, তাহলে সেই দিন যে শেষ হয়ে এসেছে, এবার যে পাল্টা বিজেপিও তৃণমূলের দেখানো পথেই হাঁটতে শুরু করবে এবং তাদেরকে জব্দ করবে, তা স্পষ্ট করে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

এদিন সুকান্তবাবু বলেন, “কি ধরনের রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে তৈরি করতে চাইছেন? হয় আপনার পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, তা না হলে পাল্টা মারবো আমরা। অন্তত পক্ষে উত্তরবঙ্গে বিজেপির সেই ক্ষমতা রাখে যে, আমরা পাল্টা মারতে পারি, তৃণমূল কংগ্রেসকে। আমি জলপাইগুড়িতে বলব, যদি পুলিশ গ্রেপ্তার না করে, তাহলে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই সমস্ত ব্যক্তিদের দেখতে পেলেই বিজেপি অফিসে খবর দিন। বাকিটা যা করার বিজেপি করবে।”

Exit mobile version