Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় ছেলেকে সাহায্য করার অভিযোগ, শিক্ষক নেতার কর্মকাণ্ডে অস্বস্তিতে তৃণমূল!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে বর্তমানে সাধারণ মানুষের মধ্যেও একটা ধারণা হয়ে গিয়েছে যে, তৃণমূল করলেই বুঝি সাত খুন মাফ। তৃণমূল করলেই যাকে খুশি হেনস্থা করা যায়, যার ওপর অত্যাচার করা যায়। এমনকি বেআইনিভাবে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পর্যন্তও নেওয়া যায়। বিরোধীরা তেমনটাই অভিযোগ করে। আর বিরোধীদের সেই অভিযোগের মধ্যেই এবার স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় নিজের ছেলেকে সাহায্য করার অভিযোগে রীতিমত প্রশ্নের মুখে পড়ে গেলেন গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক এবং তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের এক নেতা। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ‌

জানা গিয়েছে, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলের বাংলার অধ্যাপকের বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়ংকর অভিযোগ। যিনি স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকেও নিজের ছেলেকে সহযোগিতা করেছেন। আর সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সেই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন একাংশ। শুধু তাই নয়, খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেল যে, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার সেই অধ্যাপক আবার তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার এক নেতা। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল করেন বলেই কি একটা পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থেকে অন্য মেধাকে অস্বীকার করে শুধুমাত্র নিজের ছেলে বলে তাকে বাড়তি সহযোগিতা করা যায়? কেন রক্ষক হয়ে ভক্ষকের মত আচরণ করছেন এই অধ্যাপক? এতে কি তার দল, তার সরকার এবং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার খুব উন্নতি হচ্ছে? প্রশ্নটা তুলছেন একাংশ।

এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই যে ছাত্রকে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে, সেই ছাত্রের ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে যে অধ্যাপক এবং তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের নেতার বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ উঠেছে, তিনি অবশ্য এতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন। তার দাবি, সমস্ত রকম ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু এতদিন তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠল না, আর হঠাৎ করেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলো, আর সেটা ভিত্তিহীন হলো কি করে? তাহলে এটা যে ভিত্তিহীন, তার প্রমাণ কেন দিচ্ছেন না সেই অধ্যাপক?

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে লাটে তুলে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। আর তার বহিঃপ্রকাশ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ও দেখা গেল। শুধুমাত্র নিজের ছেলেকে সহযোগিতা করতে গিয়ে কষ্ট করে মেধাকে কাজে লাগিয়ে যারা পরিশ্রম করে পরীক্ষায় বসেছেন, তাদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে একজন অধ্যাপক কি করে এত বড় সাহস দেখান নিজের ছেলেকে পরীক্ষায় সহযোগিতা করার? তাহলে কি তৃণমূল নেতা বলেই তিনি এই ধরনের কাজ করার সাহস পাচ্ছেন? গোটা রাজ্যের তৃণমূল শিক্ষা ব্যবস্থায় যেভাবে দুর্নীতি করেছে, জেলায় জেলায় থাকা তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের নেতারাও কি সেই দুর্নীতির পথই বেছে নিচ্ছেন? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

Exit mobile version