প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের নেতারা আইন কানুনের কিছুই ধার ধারেন না। তারা ভাবে, তারা যেটা করবে, সেটাই ঠিক। এই রাজ্যে তাদের কথাই শেষ কথা। আর সেটা করতে গিয়ে যেভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছেন তৃণমূলের এই নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা, তা কি তারা দুবার ভাবছেন না? তাদের নিজের পরিবারের কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিতেন, আর সেই সময় যদি সদলবলে কেউ ঢুকে অসুবিধা সৃষ্টি করতো, তাহলে কি তারা মেনে নিতেন? এই প্রশ্নটা উঠছে, তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
কি ঘটনা ঘটেছে? রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছিল পরীক্ষা। আর সেই সময় একেবারে সদলবলে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। যেখানে ভেতরে চলে ক্রিকেট খেলা। স্বাভাবিকভাবেই যখন পরীক্ষা চলে, তখন এইভাবে কোন ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করা যায় না। একটা অনুমতি পর্যন্ত নিতে হয়। কিন্তু সেই অনুমতিটুকু না নিয়ে যেভাবে তৃণমূলের বিধায়ক ভেতরে প্রবেশ করলেন বলে খবর আসছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যে এসব হচ্ছেটা কি? তৃণমূলের নেতাদের দাপটে কি পরীক্ষার্থীরা নিশ্চিন্তে পরীক্ষাটুকুও দিতে পারবে না? সেখানেও কি অসুবিধার মুখে পড়তে হবে তাদের?
ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির ঘনিষ্ট মহলের দাবি, এভাবেই তো গোটা রাজ্য চলছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তাটুকু নেই। তারা পরীক্ষা দেবে, সেখানেও কি করে তাদের অসুবিধের মুখে ফেলা যায়, তার সব রকম বন্দোবস্তু তৃণমূলের এই সমস্ত নেতারা করে ফেলেছেন। রাজ্যের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সর্বনাশের মুখে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তৃণমূল বিধায়ক। সব জায়গায় দাদাগিরি করতে গিয়ে রাজ্যটাকে শেষ করে দিচ্ছে শাসক দল। অবিলম্বে এদের বিতাড়িত করতে হবে। তা না হলে এই রাজ্যের বর্তমান থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ, কোনো প্রজন্মই সুরক্ষিত থাকবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।