Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“প্রাক্তন MLA এর প্যাড ছাপিয়ে রাখুক” নবদ্বীপে দাঁড়িয়ে কাকে এমন সতর্ক করলেন শুভেন্দু?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একসময় বিজেপির বিধায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে বিজেপিতে থেকে সুবিধে করা যাচ্ছিল না জন্য দুর্নীতি করতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। দলবদলু মুকুটমনি অধিকারীকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে এই অভিযোগ করেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি সেই মুকুটমণি অধিকারী যে জেলার বিধায়ক, যেখানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের এখন বড় নেতা হয়ে উঠেছেন দলবদল করে। আর সেখানেই অর্থাৎ সেই নবদ্বীপেই বিজেপির এক কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর যেদিন সেই ঘটনা ঘটেছে, সেদিন নিহত বিজেপি কর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে একসময় বিজেপি করে পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুটমণি অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরাজয়ের ভয়েই এখন থেকে বিজেপির তরতাজা কর্মীদের খুন করার চেষ্টা করছে তৃণমূল বলে দাবি করেন তিনি। পাল্টা মুকুটমনি অধিকারী শুভেন্দুবাবুকে কটাক্ষ করেন। আর আজ সেই নবদ্বীপের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুকুটমণি অধিকারীকে প্রাক্তন বিধায়কের প্যাড ছাপিয়ে রাখার বার্তা দিয়ে রীতিমত সতর্ক করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

আজ নবদ্বীপে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তাদের সব রকম আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি পুলিশ এখনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর তারপরেই মুকুটমণি অধিকারীকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দলবদলু এই বিধায়ক যে ২৬ এর নির্বাচনে পরাজিত হচ্ছেন, সেই বিষয়টিও জানিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “মুকুটমনি অধিকারী যেন প্রাক্তন বিধায়কের প্যাড ছাপিয়ে রাখেন।” ঠিক কি বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

এদিন নবদ্বীপে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে দাঁড়িয়েই মুকুটমণি অধিকারীকে বার্তা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “ও লোকসভা ভোটে হেরেছে, ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ভোটে। ছাপ্পা মেরে এমএলএ হয়েছে। প্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, ছয় মাস পরে মুকুটমণি অধিকারী প্রাক্তন এমএলএর প্যাড ছাপিয়ে রাখুক। ছাপ্পা মেরে ভোট করেছে। ওকে হিন্দুরা সবক শেখাবে, ২৬ এর নির্বাচনে। মুকুটমণি প্রাক্তন এমএলএর প্যাড ছাপিয়ে রাখুক। এইটুকু বলে গেলাম।”

Exit mobile version