Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

প্রধান শিক্ষককে ঘাড়ধাক্কা দিয়েও তৃণমূল নেতার জামিন, অবশেষে কাকদ্বীপ কাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে তৃণমূল করলে হাজার অন্যায় হোক, হাজার অপরাধ হোক, তাকে ছাড় দেয় পুলিশ। চোখের সামনে অপরাধীরা ঘুরে বেড়ালেও, তিনি যদি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাকে গ্রেপ্তার করার মত সাহস দেখায় না প্রশাসন। বিভিন্ন সময় বিরোধীরা এই অভিযোগ তুলেছে। আর সম্প্রতি কাকদ্বীপের স্কুলের ভেতরে যেভাবে সেখানকার প্রধান শিক্ষককে ঘাড় ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, তাতে তার গ্রেফতারি কবে হবে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। অবশেষে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু পরদিন আদালতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে তার জামিন হয়ে যায়। কারণ কি? কারন একটাই, সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ যে সমস্ত ধারা দিয়েছে, তাতে তার জামিন হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে প্রশাসনের এই দৃষ্টিভঙ্গি কেন হবে? একজন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে তৃণমূল নেতা ঘাড় ধাক্কা দেবেন, আর প্রশাসন কেন তার বিরুদ্ধে লঘু ধারা দেবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সেই নিগৃহীত প্রধান শিক্ষক। আর অবশেষে বিচারের দাবিতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন তিনি।

বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল কাকদ্বীপের একটি স্কুলের ঘটনা। যেখানে সিসিটিভি ফুটেছে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল যে, সেখানকার প্রধান শিক্ষককে রীতিমত ঘাড় ধাক্কা দিচ্ছেন পরিচালক সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা ত্রিদিব বারুই। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আদালতে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জামিন পেয়ে যান। আর তারপরেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তার বক্তব্য, ভবিষ্যতে আবারও তার ওপর এরকম ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি পুলিশ কেন এত লঘু ধারা দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে গোটা বিষয়কে “দুর্ভাগ্যজনক” বলে মন্তব্য করেন প্রধান শিক্ষক মিলনকান্তি ধর। অবশেষে এবার কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলেন তিনি।

জানা গিয়েছে, যেভাবে তাকে স্কুলের ভেতরে ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার সেই পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মিলনকান্তি ধর। তার বক্তব্য, এভাবে স্কুলের ভেতরে প্রধান শিক্ষককে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কেউ পার পেতে পারে না। পাশাপাশি তার ঘরের ভেতরে যেভাবে তাকে হেনস্থা করা হয়েছে, সেই সিসিটিভি ফুটেজ কেউ বা কারা ডিলিট করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করছেন তিনি। যার ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে এবার পুলিশের পক্ষ থেকে যেভাবে লঘু ধারা দিয়ে তৃণমূল নেতার জামিন পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েই এবার উচ্চ আদালতে গেলেন কাকদ্বীপের নিগৃহীত সেই প্রধান শিক্ষক। স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতা হাইকোর্ট এখন কি নির্দেশ দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Exit mobile version