Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

আরজিকর কাণ্ডে প্রতিবাদী চিকিৎসকের বদলি, আদালতে বড় ধাক্কা খেলো রাজ্য!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আরজিকর কান্ডের সময় যারা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন, তাদের প্রত্যেকেরই সঙ্গে রাজ্য সরকার প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ করছে। এক্ষেত্রে যারা প্রতিবাদী চিকিৎসক ছিলেন, তাদের বেছে বেছে কি করে অন্য কোথাও বদলি করা যায়, তার পরিকল্পনা চালিয়েছে রাজ্য বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে অন্যতম প্রতিবাদী চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। যেখানে আরজিকরের হাসপাতালে অ্যানেস্থিশিয়া বিভাকে ৪ টি শূন্য পদ থাকলেও ১ টি শূন্যপদে সেই অনিকেত মাহাতোর আগে একজন চিকিৎসকের যেহেতু নম্বর ছিল, তাই তাকে নিয়োগ করা হয়। আর বাকি ২ টি শূন্য পদে অনিকেত মাহাতোর বহু পরে র‍্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও, দুইজনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর অন্যদিকে সেই অনিকেত মাহাতোকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের পোস্টিং দেওয়া হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রতিবাদী চিকিৎসক রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণের অভিযোগ করেন। গোটা বিষয় নিয়ে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। আর আজ অবশেষে আদালতের পক্ষ থেকে বড় নির্দেশ দেওয়া হলো। যার ফলে চরম ধাক্কা খেলো রাজ্য সরকার।

জানা গিয়েছে, আজ আরজিকর কাণ্ডে প্রতিবাদী চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর যে বদলি বিতর্ক, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তার আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয়। আর সেখানেই বড় নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, “অনিকেত মাহাতোকে অবিলম্বে আরজিকরেই পোস্টিং দিতে হবে।” অর্থাৎ রাজ্যের পক্ষ থেকে যেভাবে তাকে রায়গঞ্জ মেডিকেলে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল, তা একেবারে খারিজ করে দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের এই নির্দেশ যে রাজ্যের কাছে যথেষ্ট বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাজ্যের সরকারের বিভিন্ন প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ আদালতে গিয়ে নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। এর আগেও বিরোধীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আদালতে গিয়েছে। আর সেখানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই রায় গিয়েছে। আর এবার আরজিকরের প্রতিবাদী চিকিৎসক অনিকেত মাহাতের বদলি বিতর্ক নিয়ে যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দিয়ে দিলেন, তার ফলে রাজ্য সরকার আরও একটা বড় ধাক্কা খেলো। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Exit mobile version