Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“আর তো ৬ টা মাস…..” আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে চিৎকার করতেই তৃণমূলকে বিশ্রামের বার্তা শমীকের!

 

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এখন বিজেপির বিরুদ্ধে একটাই ইস্যু নিয়ে সবথেকে বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করছে। সেটা হচ্ছে, আর্থিক বঞ্চনা। দীর্ঘদিন ধরেই তারা দাবি করছে যে, পশ্চিমবঙ্গকে নাকি বঞ্চিত করা হচ্ছে। কিন্তু বারবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে রাজ্য নেতারা পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছেন, পশ্চিমবঙ্গকে যথেষ্ট সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলার উন্নতির জন্য যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, তার হিসাব দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি নিশ্চিত যে, এবার তারা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে চলেছে। তবে সংসদে যে অধিবেশন হচ্ছে, সেখানেও তৃণমূলের সাংসদরা আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে সরব হচ্ছেন। এমনকি বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আর সেই বিক্ষোভ নিয়েই এবার পাল্টা তৃণমূলকে খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একের পর এক কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি‌। যখন সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে, তখন তৃণমূলের সাংসদরা সেখানেও চিৎকার শুরু করেছেন যে, তাদেরকে বাংলার উন্নতির ক্ষেত্রে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। তবে তৃণমূলের এই সমস্ত দাবি যে একেবারে অযৌক্তিক, তা স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

এদিন তৃণমূলের সাংসদরা যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, যেভাবে তারা দাবি করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, সেই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূলের এই দুর্নীতির কারণে প্রান্তিক মানুষেরা তো সত্যি সত্যিই বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন তৃণমূলের এই ধর্না চলবে। আর তো ৬ টা মাস। তারপরে বিশ্রাম। আসলে ১৪ বছরের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি, লুট, স্বজনপোষণের থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য এই বিক্ষোভ।”

Exit mobile version