Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

রাজ্যপালের ওপরে দাদাগিরি? রাজভবনে নট অ্যালাও! বেনজির সিদ্ধান্ত আনন্দ বোসের!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ রাজ্যের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু ৩৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ডাকা হলেও তার মধ্যে রাজ্যপালের নিযুক্ত উপাচার্যদের মধ্যে থেকে ৭ জন এবং যে সমস্ত স্থায়ী উপাচার্যরা রয়েছে, তার মধ্যে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে বাকি উপাচার্যদের অনুপস্থিতি নিয়ে এবার চরম ক্ষুব্ধ হয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যা এক প্রকার অত্যন্ত বেনজির পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান?

জানা গিয়েছে, এদিন রাজভবনে উপাচার্যদের ডাকা বৈঠকে অনেকের অনুপস্থিতি তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে রাজ্যপালের মনে। তাই এবার যারা অর্থাৎ যে সমস্ত উপাচার্যরা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত হননি, তাদের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। এমনকি তারা যদি সেই জবাবের কারণ হিসেবে কোনো রকম সন্তোষ মূলক জবাব দিতে না পারেন, তাহলে তাদের জন্য নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। এক্ষেত্রে যে সমস্ত উপাচার্যরা অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারবেন না, তাদের জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেই জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ উপাচার্যদের অনুপস্থিতি নিয়ে যে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন রাজ্যপাল এবং তার ফলেই যে তার এই কড়া সিদ্ধান্ত, তা বুঝতে বাকি নেই বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একটা জটিলতা চলছে। তবে রাজ্যপাল এদিনের বৈঠকে আশা করেছিলেন যে, সমস্ত উপাচার্যরা উপস্থিত হবেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও যেভাবে বেশ কিছু উপাচার্য সেখানে অনুপস্থিত থেকেছেন, তাতে তিনি চরম অসন্তুষ্ট। আর সেই কারণেই এবার সাংবিধানিক প্রধানের নির্দেশকে অমান্য করে যে সমস্ত উপাচার্যরা এই বৈঠকে উপস্থিত হননি, তাদের কাছ থেকে জবাবদিহি চেয়েছে রাজভবন। তবে সেই জবাবদিহি যদি সন্তোষমূলক না হয়, তাহলে যে এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা উপাচার্যদের কপালে চরম দুর্ভোগ অপেক্ষা করতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Exit mobile version