প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ইতিমধ্যেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। যেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিচ্ছেন বুথ লেভেল অফিসাররা। তবে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ আসছিলো যে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির যারা রয়েছেন, তাদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনকি অনেক জায়গায় বুথ লেভেল অফিসারদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে যখন এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তখন বিএলও থেকে শুরু করে বিএলএদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দিকে দিকে যেভাবে বিজেপির এজেন্টরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এবার তা নিয়েই মুখ খুলতে গিয়ে সংবিধানের কথা তুলে ধরে পাল্টা হুংকার দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, কোচবিহার থেকে শুরু করে বারুইপুর, দিকে দিকে বিজেপির বিএলএরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে। কোনো ক্ষেত্রে বুথ লেভেল অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে, আবার কখনও বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। তবে নির্বাচন কমিশন যখন এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তখন সেখানে যদি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের বিশেষ করে বিরোধীদের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে কি করে এই প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে? স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের মধ্যে থেকে প্রশ্ন উঠছে যে, এটা কি সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ জানানো নয়? যেভাবে তৃণমূল ভয় দেখানোর রাজনীতি শুরু করেছে, তাতে তো অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের। তবে বিরোধীরা যখন এই দাবি তুলছে, ঠিক তখনই আরও বড় মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করব। চারিদিকে বিএলএরা মার খাবে, এটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এসআইআর করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা একটি সাংবিধানিক সংস্থা। বিএলএদের আক্রমণ করার অর্থ সংবিধানকে আক্রমণ করা। আর সংবিধান যদি বারবার আক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে সংবিধানের যে ভাষা আছে, সংবিধান আশা করি, সেই ভাষায় কথা বলবে।”
