Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

রাজ্যে কি চলছে, তার সবটাই জানে দিল্লি! মমতার একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য তুলে ধরে গর্জে উঠলেন সাংসদ!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে, তার সবটা কি আদৌ কেন্দ্রীয় বিজেপি জানে? আর জানলেও কি তারা চায় যে, এই রাজ্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে! এই প্রশ্ন এতদিন বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ছিল। কিন্তু এবার সমস্ত সংশয় দূর হয়ে গেল। দুর্গাপুরে যে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যেভাবে এই রাজ্যে বিজেপি নেতাকর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ করছেন, পথে নেমেছেন, ঠিক একইভাবে দিল্লি থেকেও গোটা ঘটনার সমালোচনা করে দেওয়া হলো প্রতিক্রিয়া। শুধু তাই নয়, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গণধর্ষণের ঘটনার পর যেভাবে সাফাই দিয়েছেন, তার নিন্দা করার পাশাপাশি অতীতেও এই রাজ্যে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে মহিলা নির্যাতনের এবং তারপরে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন, তা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় বিজেপিও বুঝিয়ে দিলো, তারা রাজ্যের সমস্ত খবর রাখেন। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে অচলাবস্থা চলছে, বাংলায় যেভাবে নারী নির্যাতন চলছে, সেই সম্পর্কে তারা যথেষ্ট অবগত। অন্তত আজকের ঘটনার পর তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরে এই গণধর্ষণের ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে এই রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের মধ্যে একটা প্রশ্ন প্রথম থেকেই ছিল যে, রাজ্যে তো ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু সব খবর দিল্লির কাছে আছে তো? দিল্লি আদৌ জানে তো যে, এই রাজ্যে কি করে প্রশাসন চলছে! আর যদি তারা জেনেই থাকবে, তাহলে তারা পদক্ষেপ নেয় না কেন? তবে বিজেপি কর্মীদের এই সমস্ত সংশয় আজ দূর হয়ে গেল। দুর্গাপুর গণধর্ষণ কান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে যে সমস্ত মন্তব্য করা হলো, তার মধ্যে দিয়েই বিজেপির মহিলা সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অতীতে যখনই মহিলা নির্যাতন হয়েছে, তখন কি কি মন্তব্য করেছেন, তা তুলে ধরে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে রীতিমত তুলোধোনা করলেন।

এদিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। যে সাংবাদিক বৈঠকে দুর্গাপুরের গণধর্ষণকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন সুষমা স্বরাজের কন্যা তথা বিজেপি সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজ। তিনি বলেন, “এটা প্রথমবার নয়, এটা একটা পুরো প্যাটার্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপনাদের মনে থাকবে, ২০১২ সালে পার্কস্ট্রিটে নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন কি বলেছিলেন? আরও একবার তিনি নির্যাতিতার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বলেছিলেন, সাজানো ঘটনা। এবার হাঁসখালি কান্ডের কথা বলি। নাবালিকার সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলেছিলেন? পুরো ঘটনাটাকেই ট্রিভিলাইজড করে কি বলেছিলেন! এটা একটা প্রেমের ঘটনা। আরজিকর কাণ্ডে বলেছিলেন, ধর্ষণের ঘটনা তো হতেই থাকে। এখন ছেলেমেয়েরা হাতে হাত ধরে ঘোরাঘুরি করে, আগে যদি এমন দেখতে পাওয়া যেত, তখন তাদের বকাঝকা করা হত।” আর বিজেপির মহিলা সাংসদ দিল্লি থেকে যখন এই প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন, তখন একটা জিনিস পষ্ট হয়ে গেল যে, এই রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কখন কি করছেন, তার সমস্ত খবর রয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপির কাছে। তবে পদক্ষেপ কবে হবে, এখন সেটাই দেখার বিষয় বঙ্গের নেতা কর্মীদের।

Exit mobile version