প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে শিল্প নেই, কর্মসংস্থান নেই। বেকারদের চাকরি নেই। আর যারাও চাকরি পেয়েছিলেন, তাদেরও দুর্নীতির কারণে চাকরি চলে গিয়েছে। যার ফলে তৃণমূল সরকারের আমলে যে বেকার যুবকদের শোচনীয় দশা, তা রাজ্যের প্রত্যেক মানুষের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও গতকাল নিজের সরকারের ১৫ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরে বড় বড় দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে শিল্পের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন তিনি। অর্থনৈতিক করিডরের কথাও শোনা গিয়েছে তার মুখে। আর মুখ্যমন্ত্রী শিল্প নিয়ে বড় বড় দাবি করতেই প্রয়াত শিল্পপতি রতন টাটার প্রসঙ্গ তুলে ধরে কিভাবে এই রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছেন, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা উল্লেখ করে সোচ্চার হলেন বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা না হলেও, নির্বাচন যে আসছে, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা। গতকালই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের পাঁচালী প্রকাশ করেছেন। যেখানে ১৪ বছরে তার সরকার কি কি কাজ করেছে, তার রিপোর্ট কার্ড পেশ করেছেন তিনি। যেখানে শিল্প নিয়েও তার মুখ থেকে অনেক কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু যে রাজ্যে প্রত্যেক বছর ঘটা করে শিল্প সম্মেলন হয় এবং সেখানে মৌ চুক্তি হয়, কিন্তু পরবর্তীতে কোনো শিল্পপতিকে বিনিয়োগ করতে বা বড় মাপের শিল্প স্থাপন করতে দেখা যায় না, সেখানে শিল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সমস্ত বড় বড় কথা যে মানায় না, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, বিগত বাম সরকারের আমলে শিমুরের শিল্প স্থাপনের যে চেষ্টা প্রয়াত শিল্পপতি রতন টাটা করেছিলেন এবং সেই সময় যেভাবে তাকে এই রাজ্য থেকে তাড়ানো হয়েছিল, তাতে যে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী, সেই কথাও বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন ১৫ বছরের যে রিপোর্ট কার্ড পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিল্প নিয়ে তিনি যে সমস্ত দাবি করেছেন, তার পাল্টা মুখ খোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি বলেন, “২০১৬ সালে হলদিয়াতে বিজিবিএস থেকে শুরু করে শেষ যে বিজিবিএস করেছেন, তাতে মোট মৌ চুক্তি করেছেন, তা হলো, ১৬ লক্ষ কোটি টাকা। আমরা চাই, মৌ অনুযায়ী বিনিয়োগ কোথায় কোথায় হয়েছে, আপনাকে তালিকা দিতে হবে। আপনার শিল্পের বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রয়াত রতন টাটা যেটা বলে গিয়েছেন, সেটাই সঠিক। তিনি বলেছিলেন ট্রিগার মাথায় রেখে আমাকে রাজ্য থেকে তাড়ানো হলো। আমি খারাপ এমের কাছ থেকে ভালো এমের কাছে গেলাম। অর্থাৎ তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর রাজ্যের বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন আপনি। অর্থাৎ খারাপ এম, আপনার সার্টিফিকেট প্রয়াত রতন টাটা দিয়ে গিয়েছেন। তাই আপনাকে শিল্প নিয়ে আর কিছু করতে হবে না।”
