Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

রাজ্যে SIR এর চাপে ব্রেন স্ট্রোকে BLO এর মৃত্যু? ঘুরিয়ে তৃণমূলকেই দায়ী করলেন শমীক!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর পশ্চিমবঙ্গে শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, বিভিন্ন মানুষ এই এসআইআরের আতঙ্কে প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও তৃণমূল সেটাকে এসআইআরের আতঙ্কে মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে বলেই দাবি বিজেপির। আর এসবের মধ্যেই এবার আর কোনো সাধারণ মানুষ নয়, এসআইআরের দায়িত্ব যে বুথ লেভেল অফিসারদের মধ্যে রয়েছে, সেই রকমই এক বুথ লেভেল অফিসার প্রাণ হারালেন। অনেকেই বলছেন, এসআইআরের কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ব্যাপক চাপ রয়েছে এই বিএলওদের। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেওয়া এবং সেই ফর্ম তুলে আনার কাজ করতে হবে তাদের। আর এত কম সময়ের মধ্যে তাদের এই কাজ করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। যার ফলে কালনায় এক বুথ লেভেল অফিসার সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে ব্রেন স্ট্রোকে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে সেই বিষয় নিয়েই সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঘুরিয়ে তৃণমূলকেই চাপ বিস্তারের জন্য দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

প্রসঙ্গত, এতদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল যে, এসআইআরের আতঙ্কেই সাধারণ মানুষের একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে। আর এর জন্য তড়িঘড়ি এসআইআর করার যে চেষ্টা, সেটাকেই দায়ী করতে শুরু করেছিল রাজ্যের শাসক দল। তবে বিজেপি পাল্টা দাবি করেছিল যে, এখন পশ্চিমবঙ্গে যত মৃত্যু হবে, সে যদি দুর্ঘটনা হয় বা অসুখের কারণে হয়, তাকেও তৃণমূল এসআইআরের কারণ বলে দাবি করতে শুরু করবে। কারণ তারা এখন এসআইআরকে দেখে ভয় পেতে শুরু করেছে। তবে এসবের মধ্যেই আবার কালনায় এক এক বিএলওর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই বলছেন যে, বিএলওদের ওপর যে চাপ রয়েছে এই কাজ শেষ করার। কিন্তু তা অনেকেই করে উঠতে পারছে না। যার ফলে মানসিক প্রেসারের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে।

এদিন এক বিএলওর মৃত্যু নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “দেখুন, প্রেসার কে দিয়েছে, আমার জানা নেই। প্রত্যেকটা বিএলওর ক্ষেত্রে কটা বাড়ি পড়ে, আপনারা একটু হিসাব করে নিন। প্রেসার কারা দিচ্ছে, তারা উত্তর দিতে পারবে। আমরা তো বহু জায়গায় কাছে পৌঁছতে পারছি না। তৃণমূল বলছে, এসআইআর হতে দেব না। আর তৃণমূল সব জায়গায় ক্যাম্প খুলে বসে রেখেছে। কত মানুষ অত্যাচার সহ্য করবে! অনেক বিএলও তো আমাদের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে যে, কাল থেকে বেরোবো, বাড়ি বাড়ি যাব। তখন বলেছে যে, আপনাদের যেতে হবে না, আমরাই করে দিচ্ছি। সুতরাং এই পরিস্থিতি দেশের কোনো জায়গায় নেই, পশ্চিমবঙ্গে আছে। এটা সৌভাগ্য কি দুর্ভাগ্য, জানা নেই। তবে নির্বাচন কমিশন আশা করি কয়েকদিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেবে।”

Exit mobile version