প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তারপর আর কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে বসে থাকলে তাদের ভাবমূর্তি নিয়েই প্রশ্ন উঠবে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কেননা ইতিমধ্যেই নাগরাকাটায় যেভাবে বিজেপির একজন সাংসদ রক্তাক্ত হয়েছেন, যেভাবে একজন বিধায়ক আক্রান্ত হয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে দিল্লিও। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল। তিনিও রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ চাইছে, আর রিপোর্ট নয়, এবার এই রাজ্যের যে সরকারটা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হোক কড়া অ্যাকশন। আর এবার সেই কড়া অ্যাকশনের ভয়েই কি আতঙ্কিত হয়ে আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে নিজেকে আহত বাঘের সঙ্গে তুলনা করলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? অতীতে কোনোদিন তাকে এতটা আতঙ্কিত হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়নি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের বুকে আইনশৃঙ্খলা অবনতির মত অনেক ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, নাগরাকাটার বীভৎস ঘটনা। যেখানে একজন সাংসদ ত্রাণ দিতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন। যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। অন্যদিকে বাংলায় ভোটের যে প্রস্তুতি চলছে, তাতে বিহারের মত এখানেও এসআইআর হতে পারে এবং প্রচুর অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে, এই রকম একটা চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। আর এই সমস্ত কিছুকে মিশিয়ে কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত আতঙ্কিত? কারণ আজ নবান্ন থেকে তিনি যে সমস্ত কথা বললেন, তাতে তিনিই তো পরোক্ষে স্বীকার করে নিলেন যে, এই রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে বড় কোনো অ্যাকশন হতে পারে! ঠিক কি বলেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী?
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কার্যত আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি মনে করেন, এজেন্সিকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবেন, তাহলে আমরা তার জন্য প্রস্তুত। আর অ্যাকশন হলে রিঅ্যাকশন রয়েছে। আর আরও একটা কথা বলে যাই, আহত বাঘ সুস্থ বাঘের থেকেও ভয়ঙ্কর। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে আমাদের সুন্দরবনে। তাই কাউকে আহত করার চেষ্টা করবেন না। হঠাৎ নির্বাচনের আগে ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতি, আর নির্বাচনের পর সব ভুলভ্রান্তি। এটা কখনও হয় না, এটা মানা যায় না।”