প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ দুর্গাপুজো।তাই বাংলা ও বাঙালির মন পেতে একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তরফ থেকে যেমন ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে বলে দাবি বিরোধীদের, ঠিক তখনই পাল্টা সেই পুজো উদ্যোক্তাদের বিজেপির পক্ষ থেকেও নেওয়া হচ্ছে বড় পদক্ষেপ। যেখানে রাজ্যের আর্থিক অনুদানের বিরোধিতা করলেও, সেই পথেই হেঁটে বাজিমাত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এবারে দুর্গাপুজোয় সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ভেবেছে তারা। যেখানে যে যে ক্লাব গুলিকে এই আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, তাদের কলকাতা থেকে সেই অনুদান তুলে দেওয়া হবে। আর এর দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি নেতা তথা বিশিষ্ট অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
সূত্রের খবর, এবার দুর্গাপুজোর আগে ক্লাব সংগঠনগুলোর মন পেতে বড় কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এর আগেও একবার তারা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। তবে তখন জেলা সংগঠনের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার জেলা সংগঠন নয়, একেবারে যাদের যাদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, তাদের রাজ্য কমিটির কাছে এসে সেই অনুদান নিতে হবে। আর তাদের হাতে সেই আর্থিক অনুদান তুলে দেবেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তবে প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি তো রাজ্য সরকারের দেওয়া ক্লাবগুলোকে আর্থিক অনুদানের বিরোধিতা করে, তারাই আবার সেই পথে হাঁটার চেষ্টা করছে কেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনীতি বড় কঠিন জিনিস। বিজেপিকে ২০২৬ এ ক্ষমতায় আসতেই হবে। এটা তাদের কাছে একটা অগ্নিপরীক্ষা। ফলে বাংলায় যে রাজনীতি চলছে, তাতে কাঁটা দিয়েই কাটা তুলতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। এটা তারা ভালোমতই উপলব্ধি করেছে। আর সেই কারণে একদিকে বাঙালির হৃদয় স্পর্শ করা, আর একদিকে বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজোয় তারাও যে মানুষকে সহযোগিতা করতে চায়, সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা। তৃণমূল সরকারে আছে, তাই তারা আর্থিক অনুদান দিতেই পারে। কিন্তু সরকারে না থেকেও দুর্গাপূজার শ্রী বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কিভাবে তারা হিন্দু সনাতনীদের সবথেকে বড় আচার অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে, সেই বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে আরও বেশি করে ২৬ এর নির্বাচনের আগে জনমোহিনী হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।