Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking রামচন্দ্রকেও কাল্পনিক চরিত্র বলে অপমান? দাসত্ব ঘুচিয়ে অযোধ্যা থেকে হুংকার মোদীর!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে গত বছর যখন রাম মন্দিরের দরজা খুলে গেল, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন, তখনই এই দেশের কিছু কতিপয় মানুষ জ্বলে উঠেছিলেন। তারা এতটাই হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিলেন যে, যা খুশি তাই বলতে শুরু করেছিলেন। এমনকি অনেকে এটাও বলেছিলেন যে, রাম নাকি একটা কাল্পনিক চরিত্র। এর নাকি কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। আসলে কিছু মানুষ শুধুমাত্র বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে, রাজনৈতিকভাবে তাকে কোণঠাসা করতে গিয়ে ধর্ম নিজের জাতিসত্তা সমস্ত কিছু ভুলে এমন কিছু মন্তব্য করে বসেন, যা হিন্দু সনাতনীদের ভাবাবেগে আঘাত দেয়। আর সেই সমস্ত সমালোচক, যারা রামকে পর্যন্ত অপমান করতে ছাড়েননি, যারা রামকে কাল্পনিক চরিত্র বলে আখ্যা দিয়েছিলেন, অযোধ্যায় দীর্ঘ প্রত্যাশা পূরণের দিন যখন ধ্বজা উন্মোচন করা হলো, ঠিক সেই দিনকেই বেছে নিয়ে সেই সমস্ত সমালোচকদের কড়া ভাষায় জবাব দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আজ গোটা ভারতবর্ষের হিন্দু সনাতনীদের কাছে এক গর্বের দিন, এক অহংকারের দিন। কারণ প্রায় ৫০০ বছরের প্রত্যাশা এবং অপেক্ষা আজ পূরণ হয়েছে। যেখানে রাম মন্দিরের ধ্বজা উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিকশিত ভারতের উল্লেখ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, যারা এই রামচন্দ্রকে পর্যন্ত কাল্পনিক চরিত্র বলে মন্তব্য করেছিলেন, পবিত্র এই দিনকে বেছে নিয়ে সেই সমস্ত ব্যক্তিদেরও কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। বুঝিয়ে দিলেন, যারা এই সমস্ত কথা বলেছে, তারা প্রত্যেকেই দাসত্ব করেছে।

এদিন অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ধ্বজা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “রামচন্দ্র মূল্যবোধের প্রতীক। ভারতের সমস্ত ঘরে রাম রয়েছে। দাসত্বের মানসিকতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রামকেও কাল্পনিক চরিত্র বলা হচ্ছে। ২০৪৭ সাল পর্যন্ত বিকশিত ভারতের পথে কেউ বাধা দিতে পারবে না। অযোধ্যাকে সাজানোর কাজ এখনও চলছে। ২১ শতকের অযোধ্যা উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর ৪৫ কোটি ভক্ত অযোধ্যায় এসেছেন। ভবিষ্যতে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত। রাবণকে হারানোর জন্য যে রথ চাই, শৌর্য ও বীর্যের প্রতীক সেই ধ্বজা। এই সময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার সময়।”

Exit mobile version