প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে পথশ্রী প্রকল্পের অনুষ্ঠান করছেন। রাজ্যজুড়ে ঝাঁ চকচকে রাস্তা হবে, এমন প্রচার করছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু খোদ তৃণমূলেরই বিধায়ক যে কথা আজ সেই পথশ্রী প্রকল্পের একটি অনুষ্ঠানের দাঁড়িয়ে বলে দিলেন, তাতে লজ্জায় মুখ ঢেকে পালানো ছাড়া তৃণমূলের নেতাদের আর কোনো উপায় নেই বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। কি ঘটনা ঘটেছে? কোন তৃণমূল বিধায়ক এমনভাবে তৃণমূলেরই অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন?
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং গোটা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা ২৬ এর নির্বাচনের আগে উন্নয়ন নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলছেন। দাবি করছেন যে, তারা যে উন্নয়ন করে দিয়েছেন, তা আগামী ১০০ বছরেও কেউ করতে পারবে না। খুব ভালো কথা। রাজ্যের উন্নতি হলে আমাদের সকলের ভালো, এটা অত্যন্ত বাস্তব। কিন্তু তৃণমূলেরই বিধায়ক এবার প্রকাশ্যে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে একটি এলাকায় রাস্তার করুন অবস্থার জন্য মানুষের প্রশ্নের মুখে যাতে না পড়তে হয়, তার জন্য গাড়ির কাঁচ তুলে সেই এলাকা দিয়ে চলে যেতে হয় বলে স্বীকার করে নিলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, পথশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন তো হচ্ছে ঘটা করে। অথচ সেই অনুষ্ঠানেই তৃণমূলের একজন বিধায়ক দাঁড়িয়ে যেভাবে এই সরকারের অনুন্নয়ন নিয়ে মুখ খুললেন, তাতে কতটা উন্নয়ন হয়েছে, তা তো খুব ভালো মতই বুঝতে পারছেন রাজ্যবাসী। খোঁচা দিয়ে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।
এদিন নন্দকুমারের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে পথশ্রী প্রকল্পের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। আর সেখানেই ভরা অনুষ্ঠানে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের একটি ডাক্তার দুরাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তৃণমূল বলেন, “বেহাল রাস্তায় চোখের সামনে দেখছি, গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। কিন্তু গাড়ির কাঁচ উঠিয়ে চলে যেতে হয়।” আর এখানেই বিরোধীরা বলছেন, পথশ্রী প্রকল্প নয়, রাজ্যে চলছে হতশ্রী প্রকল্প। রাস্তাঘাটের যে করুণ দশা, তা আর অন্য কাউকে বলে দিতে হবে না। তৃণমূল বিধায়কই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে স্বীকার করে নিলেন। ফলে এই রাজ্যে যে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না, সবটাই যে তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকছে, তা পরিষ্কার বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।
