প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রশাসনিক সভা এবং দলীয় সভায় দাবি করেন, তার সরকার নাকি যে কাজ করে দিয়েছে, তা আগামী ১০০ বছরেও কেউ করতে পারবে না। মাঝেমধ্যেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা যায়, এগিয়ে বাংলা মডেলের কথা। কিন্তু বাংলা কতটা এগিয়েছে, আর কিভাবে এগিয়েছে, তা তো রাজ্যের মানুষ ভালোই উপলব্ধি করতে পারছেন। সামান্য বৃষ্টির জলে যেখানে কলকাতা শহরের জায়গায় জায়গায় জল জমে যায় এবং রাস্তার ভগ্ন দশা সামনে আসে, সেখানে এগিয়ে বাংলার কি করুন দশা, তা নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে বিরোধীরা। আর সেসবের মধ্যেই এবার সল্টলেকের মত এলাকায় রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে বিজেপি বিক্ষোভে নামতেই শুরু হয়ে গেল উত্তেজনা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বৃষ্টিতে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তার পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে উঠেছে। রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরা। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর তার মধ্যেই সল্টলেকের এইচবি ব্লকে ভগ্ন রাস্তার বেহাল দশার কারণে রীতিমত বিক্ষোভে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছে বিজেপি। আর সেই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীদের। প্রশ্ন উঠছে, মানুষের অসুবিধে নিয়ে যখন বিজেপি প্রতিবাদ করছে, তখন পুলিশ তাতে বাধা দিচ্ছে কেন? কেন এই রাজ্যে গণতান্ত্রিক ভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার নেই বিরোধী দলের?
গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, রাস্তাঘাটের এই বেহাল দশা জন্য তো পুলিশ কর্মীদেরও অসুবিধা হচ্ছে। তাই শুধু সাধারণ মানুষের জন্য নয়, পুলিশ কর্মীদের জন্যও তো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নামছেন বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু সেখানে তৃণমূলের দলদাসের প্রমাণ দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মীরা যেভাবে বিজেপি কর্মীদের বাধা দিচ্ছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্যের উন্নয়ন তলানিতে এসে ঠেকেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই যেভাবে সল্টলেকের মত উন্নত এলাকার রাস্তাঘাট ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়েছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, তৃণমূল সরকারের আমলে শুধু দুর্নীতিটাই হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই ২০২৬ এর নির্বাচনের তৃণমূল সরকারকে বিদায় না দিলে রাজ্যের মানুষকে আরও বড় বিপদের মুখে পড়তে হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।