Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

রাষ্ট্রপতি শাসনের আতঙ্কে কাঁপছে নবান্ন? তড়িঘড়ি নাগরাকাটা কাণ্ডে দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার!

 

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় ত্রাণ দিতে গিয়ে যেভাবে রক্তাক্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, তা রীতিমত এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। সকলে একটাই দাবি করছেন, কেন এখনও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে না? এই পরিস্থিতি থাকলে কিভাবে ২৬ এর নির্বাচন সম্ভব হবে? আর এই পরিস্থিতিতে আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। তিনি কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মত কোনো সুপারিশ করেছেন? এই কৌতূহল অনেকের মধ্যেই রয়েছে। আর তার মাঝেই এবার সামনে এলো বড় খবর। যেখানে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাষ্ট্রপতি শাসন হতে পারে? কড়া পদক্ষেপ হতে পারে রাজ্যের বিরুদ্ধে? আর তার আতঙ্কেই কি শেষ পর্যন্ত ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন?

বলা বাহুল্য, নাগরাকাটায় ত্রাণ দিতে গিয়ে যেভাবে হামলা হয়েছে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের ওপর, তা নিয়ে গোটা রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। রাজ্যপালও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, রাজ্যে যেভাবে সমস্ত কিছু চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এবার কড়া অ্যাকশন হতে পারে। রাজ্যপাল যদি রাষ্ট্রপতির কাছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মত কোনো সুপারিশ করেন, তাহলে প্রবল চাপের মুখে পড়ে যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। আর সেই সবের মধ্যেই আতঙ্ক ক্রমশ বাড়তে শুরু করায় কি শেষ পর্যন্ত এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলো পুলিশ?

কি ঘটনা ঘটেছে? ইতিমধ্যেই একটি বড় খবর সামনে এসেছে। যেখানে দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে এক ব্যক্তিকে নাগরাকাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপর আরও এক ব্যক্তিকে জয়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই গ্রেফতারি কি শুধুমাত্র লোক দেখানো? বাকি আরও যারা ছিলেন, তাদের গ্রেপ্তারি কবে হবে? নাকি সাময়িকভাবে রাষ্ট্রপতি শাসনের যে আতঙ্ক মাথাচাড়া দিয়েছে, তা যাতে শেষ পর্যন্ত না হয়, তার জন্যই গোটা বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়ে পুলিশ প্রশাসন সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে, এটা দেখানোর চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পুলিশ? দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Exit mobile version