প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সামনেই ২০২৬ এর নির্বাচন। বিজেপি যে এবার বাংলাকে পাখির চোখ করেছে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এসআইআর আবহে যখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে ক্রমাগত দাবি করা হচ্ছে যে, মতুয়াদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হতে পারে, তখন এই পরিস্থিতিতে বিজেপি তৃণমূলের সেই যুক্তিকে খন্ডন করছে। তবে মতুয়া গড়ে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই সভা ঘিরে রীতিমত কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজ্যবাসীর মধ্যে। এসআইআর আবহে প্রধানমন্ত্রী একদিকে সরকারি কর্মসূচির পর দলীয় সভা থেকে মতুয়াদের আশ্বস্ত করতে বড় কোনো বার্তা দেন কিনা, তার দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের দামামা না বাজলেও নির্বাচন যে দরজায় কড়া নাড়ছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতার মধ্যে দিয়েই। রাত পোহালেই বাংলায় আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাভাবিকভাবেই উজ্জীবিত গোটা বিজেপি পরিবার। এমনকি এসআইআর আবহে তৃণমূল একটা আতঙ্ক, একটা প্রচার তৈরি করার চেষ্টা করছে যে, মতুয়াদের নাকি নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এই প্রচার যে একেবারেই ভুল, সেই কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতুয়াদের আশ্বস্ত করতে আগামীকালের সভা থেকে বড় কোনো বার্তা দিতে পারেন বলে মনে করছেন একাংশ।
সূত্রের খবর, আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০ টায় কলকাতায় পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর হেলিকপ্টার করে তাহেরপুরের সভায় রওনা দেবেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাহেরপুরে দুটি মঞ্চ করা হয়েছে। একটি সরকারি মঞ্চ, আর একটি বিজেপির দলীয় মঞ্চ। প্রথমে সরকারি মঞ্চে বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আর তারপরেই সেই কর্মসূচি শেষে পরিবর্তন সংকল্প সভায় যুক্ত হয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর আবহে কি বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।
