Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“সাধে কি আর মমতা পুলিশ বলি!” শাড়ি বিতরণ করতে গিয়ে পুলিশ কর্তার মন্তব্যে বিতর্ক! ভিডিও পোস্ট শুভেন্দুর!  

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করে। কথায় কথায় পুলিশের বিভিন্ন আচরণে তাদের মমতা পুলিশ বলেও আক্রমণ করতে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে তিনি যে এই রাজ্যের দলদাস প্রশাসনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস পুলিশ বলে এমনি এমনি আক্রমণ করেন না, এর পেছনে যে যথেষ্ট কারণ রয়েছে, তার আরও একটা তথ্য আজ সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে সাধারণ মানুষকে যখন তিনি বস্ত্র তুলে দিচ্ছেন, তখন বলছেন, “এগুলো সব দিদি দিয়েছে।” স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল নেতাদের বদলে এখন পুলিশকেই যে ভোটের প্রচারের কাজে লাগিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের শাসক দল এবং সেই কারণেই যে তারা মমতা পুলিশ বলে এই রাজ্যের পুলিশকে সম্বোধন করে, তা স্পষ্ট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এসিপি শান্তনু সিনহা বিভিন্ন মানুষকে, বিশেষ করে মহিলাদের শাড়ি বিতরণ করছেন। আর সেখানেই সেই পুলিশ কর্তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, দিদি দিয়েছে। আর এখানেই শুভেন্দু অধিকারী সেই ভিডিও পোস্ট করে প্রশ্ন তুলেছেন যে, একজন পুলিশ অফিসার কি এমন কথা বলতে পারেন? পাশাপাশি তার দাবি, এভাবেই তৃণমূল পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে। আর তৃণমূল নেতাদের বদলে এখন শাসক দল যাতে ভোট পায়, তার জন্য প্রচারের কাজ করছেন এই পুলিশ কর্তারা।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ না থাকলে এই তৃণমূল দলটারই কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এটা আমি আগেও বলেছি। এই ভিডিওটা আবারও প্রমাণ সাপেক্ষে দিলাম। এসিপি শান্তনু সিনহা বিশ্বাস ভবানীপুরের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মদন পাল লেনের স্বরাজ সংঘ ক্লাবে এসে পাড়ার মহিলাদের শাড়ি বিতরণ করছেন। সেই সাথে বলছেন, দিদি দিয়েছে। এসিপি পদাধিকারী একজন পুলিশ অফিসার কি এটা করতে পারেন? সাধে কি আর আমি পুলিশকে মমতা পুলিশ বলি! কারণ এই রাজ্যে পুলিশ অনেক আগে থেকেই তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। এখন তো অবস্থা এই যে, তৃণমূলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার দায় এইসব পুলিশকর্তার দলীয় নেতাদের চেয়ে বেশি, কারণ সরকার বদল হলে এদের অপকর্মের ফল এদেরকে ভোগ করতেই হবে।”

Exit mobile version